ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ও অধিকৃত পশ্🅰চিম তীরে ৭৩ দিনে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এসময়ে এ দুই অঞ্চলে আহত হয়েছে অন্তত ৫৬ হাজার ফিলিস্তিনি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জনসংযোগ বিভাগ🧔 এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত গাজায় অন্তত ১৯ হাজার ৬৬৭ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৭ হাজা🐼র ৭২৯ জনই শি✤শু। নিহতদের মধ্যে নারী রয়েছেন ৫ হাজার ১৫৩ জন।
এ সময়ে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫২ হাজার ৫৮৬ জন। আহতদের মধ্যে ৮ হাজার ৬৬৩ জন। আহতদের মধ্যে ৮ হাজার ৬৬৩ জনই শিশ🐻ু এবং এর মধ্যে নারী রয়েছে ৬ হাজার ৩২৭ জন। এছাড়া ইসরায়েলি হামলা এবং অভিযানে নিখোঁজ হয়েছে অন্তত ৮ হাজার।
এদিকে, ৭ অক্টোবরের পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি 🙈সেনাদের হামলাไয় অন্তত ৩০১ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৭২ জন শিশু। এই সময় আহত হয়েছে আরও অন্তত ৩ হাজার ৩৬৫ জন।
এদিকে, চলমান ইসরায়েলি বোমা হামলায় গ🌄াজার পানি সরবরাহব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। পানি কিংবা পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার সংকট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
বেসরকারি সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের সদস্য রিকার্ডো মার্টিনেজ যুদ্ধের মধ্যে চার সপ্তাহ গাজায় ছিলেন। ত্রাণ♉সহায়তাকারী সংস্থার ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই শঙ্কার কথা বলেন।
রিকার্ডো মার্টিনেজ বলেন, ‘গাজায় লোকজনকে সীমাবদ্ধতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বেঁচে থাকার জন্য তাদের লড়াই করতে হচ্ছে। লোকজন সর্বোচ্চ এক লিটার পানি পাচ্ছে, যা পান করার পাশাপাশি ধোয়া ও রান্নার কাজে ব্যবহার করতে হয়।𒈔 পানি ছাড়াও গাজার কোনো কোনো জায়গায় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ নেই, যা বাসিন্দাদের 🧸টিকে থাকার চ্যালেঞ্জকে আরও জটিল করে তুলছে।’
রিকার্ডো মার্টিনেজ আরও বলেন, ‘জ্বালানি ছাড়া মিলগুলো চলে না। তাই গম, খাদ্য পাওয়া যাচ্ছে না। মিসর থেকে আসা দাতা সংস্থার ট্রাক গাজায় প্রবেশ করে স্থানীয় ট্রাকে মালপত্র তুলে দিচ্ছে। তবে জ্বালানি না 🐠থাকায় গাজার ট্রাকগুলোও চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে 🍨সম্ভব হচ্ছে না ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমও।’
গত ৭ অক্টোবর গাজা শাসনকারীꦰ ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামসের যোদ্ধাদের হামলার জবাবে গাজায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।