জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১টার পর বাভারিয়া প্রদেশে এক জনপ্রিয় স্কি রিসোর্ট ও হাইকিং গন্তব্যের কাছে এ দু꧙র্ঘটনা ঘটে।
পুলিশের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বাভারিয়ার গার্মিশ থেকে পার্টেনকিরচেনের উত্তরে যাচ্ছিল ট্রেনট♓ি। এ সময় ৬০ জন যাত্রী ছিল। আহতদের ১৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পুলিশ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান শুরু করছে। নিহতদের পরিচয় বা হতাহতদের মধ্যে চালক আছেন কি না, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানান যায়নি।
পার্টেনকিরচেন জেলা অফিসের এক মুখপাত্র আগে জানিয়েছিলেন, ট্রไেনটিতে অনেক স্কুলছাত্র ছিল। দুর্🌊ঘটনায় ৬০ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার ছবিতে দেখা যায়, ডাবল ডেকার ট্রেনের বগি গাছের সঙ্গে আটকে আছে। কিছু পাশের বেড়িবাঁধের নিচে গড়িয়ে পড়েছে। আহত মানুষজনকে স্ট্রেচারে করা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বিবিসি🀅 বলছে, উদ্ধার তৎপরতায় সহায়তার জন্য অস্ট্রিয়ান অঞ্চলের টাইরল থেকে তিনটি স্ক্র্যাম্বলসহ ছয়টি হেলিকপ্🐼টার ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
এ অঞ্চলে𒈔 চলতি মাসের শেষের দিকে বিশ্ব নেতাদের জি-৭ শী🌟র্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে এই অঞ্চলে পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
লাইনচ্যুত হওয়ার সময় কাছাকা✱ছি একটি বিমান ঘাঁটিতে থাকা এক মার্কিন সৈন্য পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি স্থানীয় গণমাধ্য𒁏মকে বলেন, দুর্ঘটনাটি ছিল ‘শুধু ভয়ংকর, হঠাৎ ট্রেনটি উল্টে যায়’।
জার্মান রেল অপারেটর ডয়েচে বাহন বলেছেন♏, মিউনিখ ও গার্মিশ-পার্টেনকিরচেনের মধ্যে রুটের কিছু অংশ বন্ধ রাখা হয়েছে। রাস্তায় থাকা যানবাহন সর♐িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আধুনিক সময়ে জার্মানির সবচেয়ে মারাত্মক রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯৮ সালে। উচ্চগতির ট্রেন লোয়ার স্যাক্সনির এসচেডে লাইনচ্যুত হয়েছিল। সে সময় ১০১ জন নিহত হয়েছিলেন। দেশে সাম্প্রতিক বড় দুর্ঘটনা ঘটে ফেব্রুয়ারিতে। মিউনিখের কাছে দুটি ট্রেনের মধ্যে স𒐪ংঘর্ষে এ🍸কজন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছিল।