সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। বর্ষা শুরুর আগেই এটি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। অধিকাংশ ঘরে🍸ই এখন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী রয়েছে। গরমকাল এলে প্রতিবছরই এমন চিত্র থাকে। ডেঙ্গু প্𒈔রতিরোধে কোনো ব্যবস্থাই যেন কার্যকর হচ্ছে না। বাংলাদেশের মতো বিশ্বের কয়েকটি দেশও ডেঙ্গু সংক্রমণে আতঙ্কিত। এমন অবস্থায় সুখবর জানালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World health Organisation)।
জানা যায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে প্রাথমিক স্তরে সম্মতি পেয়েছে জাপানের তৈরি ডেঙ্গুর টিকা। যার নাম টাক০০৩। এই টি🐷কা প্রাথমিক স্তরের সম্মতি পেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্🔯য সংস্থার কাছ থেকে। গত ১০ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ কমিটি ছাড়পত্র দেয়। জাপানের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা টাকেডা ফার্মাসিউটিকালস এই টিকা তৈরি করেছে।
গবেষ🎐করা জানান, ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি দুর্বল সিরিওটাইপ একসঙ্গে করে এই টিকার ফর্মুলা আবিষ্কার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এতেই অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, বিশ্বের যেসব অঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রকোপ ⛦খুব বেশি রয়েছে সেখানে এই টি🅘কা দেওয়া যাবে। কিন্তু এই টিকা সব বয়সীরা নিতে পারবে না। শুধুমাত্র ৬-১৬ বছর বয়সী শিশু ও কিশোররা এই টিকা নিতে পারবে। নির্দিষ্ট বয়সী শিশুদের ডেঙ্গি সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতেই প্রাথমিক পর্যায়ে এই টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কীভাবে এবং কতদি🐻ন পর পর এই টিকা নিতে হবে সে বিষয়েও ꦯজানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি জানায়, ডেঙ্গু টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে। ৩ মাসের ব্যবধানে এই ডোজগুলো নিতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রেগুলেশন অ্যান্ড প্রিকোয়ালিফিকেশনের ডিরেক্টর রোজারিও গ্যাসপার জানান, ডেঙ্গু টিকা প্রদানে এটি প্রতিরোধের কাজ অনেকটাই এগোবে। এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুর দুটি টিকাকে প্রাথমিক ছাড়পত্র দেওয়া হলো। আরও টিকা প্রস্তুতাকারী 𝔉সংস্থা এগিয়ে আসতে হবে। টিকা প্রস্তুতির দিক থেকে ঠিক থাকলে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা নির্দিষ্ট ছাড়পত্র দেবে। টিকা প্রদানে বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা আরও সহজ হবে।
প্যান আমেরিকা হেলথ অরগ্যানাইজেশন ও ইউনিসেফ এই টিকা সংরক্ষণ করতে পারবে সহজেই। এছাড়াও জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশগুলোও এই টিকা সংর🏅ক্ষণে রাখতে পারবে বলেও জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ডিরেক্টর।
সূত্র: এবিপি নিউজ