মেয়েদের মতো ছেলেদেরও হরমোনজনিত বদল হয়। তবে মেয়েদের মতো ছেলেদের প্রতিমাসেই নির্দিষ্ট দিনে হরমোন বদল হয় না। পুরুষদের হরমোন চক্র শুরু হয় এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যা♊য়। তবে পুরুষদের হরমোনজনিত বদলের কারণে মুড সুইং হয়। অর্থাত্ মেজাজ বদলায়। এই সময় পুরুষরা খিটখিটে থাকে। যা তাদের দৈনন্দিন জীবনেও প্রভাব ফেলে।
মনস্তত্ত্ববিদরা জানান, পুরুষ এবং নারীদের পরস্পরের হরমোন জনিত বদলের 🦹বিষয়ে সঠিক ধারণা থাকা জরুরি। এতে সম্পর্ক ভালো থাকে। একে অন্যকে সহজেই বুঝতে পারে।
পুরুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য টেস্টোস্টেরন হরমꦫোন এক জরুরি উপাদান। ‘পুরুষ হরমোন’ হিসেব🐻েও পরিচিত টেস্টোস্টেরন শরীর গঠন, মনমেজাজ থেকে শুরু করে যৌনজীবনে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মনোবিদ চিকিৎসকরা জানান, পুরুষের ২৪ ঘণ্টার হরমোন-চক্র হয়। সকালের দিকে তাদের টেস্টোস্টেরন থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। দিন যত গড়াবে, এর মাত্রাও কমতে থাকবে।
পুরুষের হরমোনজনিত বদলের প্রভাব তৎক্ষণাৎ দেখা যেতে পারে। এর প্রভাব প্রতিদিনের আচরণে পড়ে। পুরুষরা যখন ঘুম থেকে ওঠেন, তখন সবচেয়ে বেশি সতেজ থাকেন। সকালে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা যখন বেশি থাকে, তখন পুরুষের চনমনে ভাব, আত্মবিশ্বাস বেশি থাকে। এমনকি যৌন আকাঙ্ক্ষাও বেশি থাকে। দিনের দ্বিতীয়ভাগে টেস্টোস্টেরন কমতে থাকে। মেজাজেও বদল হয়। চনমনে ভাব কমতে থাকে। ধীরে ধীরে সন্ধ্যা হলে ক্লান্তি বোধ দেখা দেয়। কেউ কেউ আবার ছোট✃ ছোট বিষয়েও বিরক্তি প্রকাশ করে।
মনোবিদরা জানান, পু💫রুষ ও নারীদের হরমোনজনিত বদল বিষয়টি মাথায় রেখেই সারা দিনের কাজের পরিকল্পনা করতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সকালের দিকেই সেরে ফেলুন। দিনের শেষের দিকে কম গুরুত্বপূর্ণ বা হালকা কাজগুলো রাখুন। প🌄ুরুষরা যেহেতু বাড়ির বাইরেই বেশি সময় থাকছেন, তাই দিনের শেষ ভাগে বাড়ি ফিরে তাদের বিশ্রামে সুযোগ থাকতে হবে। হরমোন বদলের সামঞ্জস্যতা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত বিশ্রামও প্রয়োজন।