বেশিরভাগ শিশু গর্ভাবস্থার ৩৭ থেকে ৪১ সপ্তাহের মধꦍ্যে জন্ম নেয়। শেষ মাসিকের প্রথম দিন থেকে ৪০ সপ্তাহ হিসেব করে মূলত প্রসবের নির্ধারিত একটা তারিখ দি🉐য়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে নির্ধারিত তারিখের দুই সপ্তাহ পরেও যদি শিশু প্রসব না হয় তাহলে এটা হবে পোস্ট টার্ম প্রেগন্যান্সি। সাধারণত ৫ থেকে ১০ ভাগ নারীদের এমনটা হয়ে থাকে।
বিলম্বিত প্রসবে কিছু ঝুঁকি রয়েছে। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশকে পরামর্শ দিয়েছেন স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা.মাবরুবা সরকার শিফা। তিনি বলꦓেন, গর্ভাবস্থায় নির্ধারিত তারিখ পার 🌟হলেই সর্তক হতে হবে। কারণ অনেক সময় ৪২ সপ্তাহের পরে কিছু শিশু মায়ের গর্ভেই কিংবা জন্মের অল্প সময়ের মধ্যে মারা যায়।
এ ছাড়া এ ধরণের গর্ভবস্থায় জন্মের পর শিশুটির ওজন বেশি হয়। শিশুর শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ কমতে পারে। এছাড়াও দেখা দিতে পারে ইনফেকশন। এছাড়া গর্ভবতী নারীর অতিরিক্ত রক্তপাতের ঝুঁকি থাকে। তাই প্রসবের নির্ধারিত তারিখ পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নির্ধারিত তারিখ পার হওয়ার এক সপ্তাহ দেরি হলে শিশুর অ্যামনিওটিক ফ্লুইডের পরিমান দেখতে হবে। এ ছাড়া আলট্রাসജাউন্ডের মাধ্যমে শিশুর হুদস্পন্দন, নড়াচড়া, আকারের অবস্থান পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
এ সময় কৃত্তিম উপায়ে প্রসব করার পরামর্শ সাধারণত দেয়া হয়ে থাকে। কোনো ধরণের জটিলতা যাতে নয় এজন্য গর্ভবতী নারীদের নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। পানি খেতে হবে বেশি বেশি। এছাড়া প্রোটিন, ক্যালোরি, খনিজ লবন পরিমানমতো গ্রহণ করতে হবে। সুষম 💜খাবারের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেরও যত্ন নিতে হবে। কেননা মায়ের মনের রাগ কিংবা ক্ষোভ শিশুর ওপর প্রভাব ফেলে।
তাই গর্ভবতী মাকে সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে। সবর্দা আনন্দে ও প্রফুল্লচিত্তে থাকতে হব🌺ে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমানে বিশ্রাম নিতে হবে।&n♛bsp;