মাছে-ভাতে বাঙালির শেষ পাতে দই ছাড়া যেন চলেই না। তাই তো জমিয়ে খাওয়া-দাওয়ার পর এক বাটি দই থাকতেই হবে। মিষ্টি দইয়ের🍌 পাশাপাশি টক দইয়ের গুণাগুণের কথা কমবেশি সবারই জানা। তবে টক দই নিয়ে অনেকেরই অনেক রকমের মতামত রয়েছে। শারীরিক সমস্যার সমাধানেও দই অত্যন্ত উপকারী।
পুষ্টিবিদদের মতে, 💯প্রতিদিন নিয়ম করে এক কাপ টক দই খেলে শারীরিক নানা সমস্যা থেকে চিরকালের মতো মুক্তি মেলে। শরীরকে ডি-টক্সিফাই রাখতে দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। শরীর থেকে যত টক্সিন বেরোবে, ততই শরীর সুস্থ থাকবে। তবে গরমে টক দইয়ের সঙ্গে কিসমিস মিশিয়ে খেলেও মিলবে দারুণ উপকার। এত এত উপকারিতার পাশাপাশি কিছু কিছু খাবার আছে যা খেয়ে দই খাওয়া মোটেও উচিত নয়। তাতে হিতে💝 বিপরীত হয়। না জেনে অজান্তেই নিজের ক্ষতি নিজে ডেকে আনেন অনেকে। এ জন্য জেনে নিন কোন খাবারের পর দই খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। ইউনাইটেড হাসপাতালের পুষ্টিবিদ হাসিনা মমতাজ জাহান জানাচ্ছেন সেই কথা।
- মেনুতে মাছ থাকলে সেদিন দই না খাওয়াই ভালো। কারণ, মাছ এবং দই প্রোটিনে ভরপুর। তাই দুটি প্রোটিন একসঙ্গে খাদ্যতালিকায় থাকলে হজমের সমস্যা হতে পারে। নানারকম পেটের সমস্যা এড়াতে মাছ এবং দই একসঙ্গে না খাওয়াই ভালো।
- তৈলাক্ত খাবারদাবার, যেমন : পরোটার সঙ্গে ভুলেও দই খাবেন না। ওই খাবারদাবার খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই ভুলেও পরোটার সঙ্গে দই খাবেন না।
- হজমের সমস্যা এড়াতে ভুলেও আম ও দই একসঙ্গে খাবেন না।
- যাদের চুলকানি ও অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারা ভুলেও দই এবং পিঁয়াজ একসঙ্গে খাবেন না।
- দুধ এবং দই একসঙ্গে খাবেন না। কারণ তাতে হজমের সমস্যা, বুক জ্বালা, বমির সমস্যা হতে পারে। দুধ এবং দুধজাত সামগ্রী খেলে শরীরে ফ্যাটও বাড়তে পারে।