না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ‘মিস ইন্ডিয়া ত্রিপুরা’ রিঙ্কি চাকমা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ২৮ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন। ২০২২ সালে প্রথমবার ধরা পড়ে যে তাঁর ক্যানসার হয়েছে।🌜 সেই থেকেই তিনি ♍এই রোগের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছিলেন। কিন্তু অবশেষে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে অল্প বয়সেই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করলেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ২০২২ সালে প্রথমবারের জন্য ম্যালিগন্যান্ট ফাইলোডেস টিউমার বা ব্রেস্ট ক্যানসার ধরা পড়ে রিঙ্কি চকমার। এরপর সার্জারি হয় তাঁর। কিন্তু তাতেও থামানো যায়নি বিপদ। ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ে তাঁর ফুসফুসে। পরবর্তীতে মস্তিষ্কেও থাবা বসায় 🌳এই রোগ। ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে রিঙ্কি চকমার। শেষ দিকে তাঁর স্বাস্থ্যের দারুণ অবনতি হয়। এমনকি ফেমিনার একটি রিপোর্ট অনুযায়ী শেষ দিকে কেমো পর্যন্ত নিতে পারতেন না তিনি। লড়াই করেও বাঁচতে পারেননি সাবেক ‘মিস ইন্ডিয়া ত্রিপুরা’।
গত ২২ ꦏফেব্রুয়ারি রিঙ্কি চাকমার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক হলে তাকে সকেতের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় । আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। তার একটি ফুসফুস কাজ করা প্রায় বন্ধ করে দ𓂃িয়েছিল।
সূত্রে জানা গেছে, ক্যানসার চিকিৎসার এই বিপুল খরচ বইতে﷽ পরেছিলেন না প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ত্রিপুরা। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে সকলের থেকে আর্থিক সাহায্য প্রার🅷্থনা করেন। একই সঙ্গে জানান একটা সময় তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের রোগ নিয়ে কথা না বললেও এখন বাধ্য হচ্ছেন। তিনি সেই পোস্টে লেখেন, আমি এবং আমার পরিবার অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। গত দুই বছর ধরে আমার চিকিৎসার জন্য আমাদের সমস্ত সঞ্চয় খরচ হয়ে গেছে। তাই এখন কেউ ডোনেশন দিলে আমরা সেটা গ্রহণ করছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মিস ইন্ডিয়া ত্রিপুরা খেতাব জেতেন রিঙ্কি। একই বছর মিস ইন্ডিয়া খেতাব জেতেন মানুষী চিল্ꦫলার। যিনি পরবর্তীতে মিস ওয়ার্ল্ড খেতাবও জয় করেন।