• ঢাকা
  • সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


পানি নামার সঙ্গে ভেসে উঠছে ক্ষত


ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৩, ০৬:১২ পিএম
পানি নামার সঙ্গে ভেসে উঠছে ক্ষত

ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে মুহুরী নদী। ইতোমধ্যে বন্যার কারণে মুহুরী নদীর তিনটি স্༒থানে ভেঙে জেলার সোনাগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

জেলা প্রওশাসকের কার্যালয়🌸ের তথ্য মতে, ফুলগাজী উপজেলার ১ হাজার ১৪৫টি পরিবারের ১৪ হাজার ৫০০ বাসিন্দা এবং ১ হাজার ১৪৫টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার ৫৫০ হেক্টর রোপা আমন, ১৫ হেক্টর সবজি, সাড়ে ৪৪ হেক্টর আয়তনের ৩৫০টি পুকুরের ২৫ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে।

এদিকে, পরশুরাম উপজেলার ৫৫০টি পরিবারের ২৬ হাজার বাসিন্দা ও ৫৫০টি ঘর-বা🌸🐲ড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় ১৬৫ হেক্টর রোপা আমন, ৫ হেক্টর সবজি, ৩০টি পুকুরের প্রায় ২০ টন মাছ ও সাড়ে ৪ টন পোনা ভেসে পানিতে ভেসে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফুলগাজীর বিভিন্ন গ্রাম থেকে পানি নামতে শুরু করায় ক্ষত চিহ্নগুলো দৃশ্যমান হচ্ছে। ভাঙনকবলিত স্থান দিয়ে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো তৈরি করে স্থানীয়রা কোনো রকমে যাতায়াত কর🔯ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ও ফসলি জমির ক্ষতও যেন এখন দৃশ্যমান। এদিকে মৎস্য চাষীরা তাদের ক্ষতিগ্রস্ত পুকুরগুলোর পাড় নির্মাণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

পরশুরামের মৎস্য চাষি আরমান হোসেন বলেন, “চাষের ৩টি পুকুরের অন্তত ২০ লাখ টাকার পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া মাছ ছিল। বাঁধভাঙা পা⛦নিতে পুকুর ভেসে চ𝄹োখের সামনেই সব মাছ চলে গেছে।”

ফুলগাজীর কৃষক খালেক মুন্সি বলেন, “সেচ দিয়ে ২ একর জমিতে আমন চারা রোপন করেছিলাম। কিন্ত🧜ু গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও বাঁধভাঙা পানিতে আমাদের স্বপ্ন তলিয়ে গেছে।”

ফারহান মাহতা✱ব নামের একজন বলেন, “মূল সড়কে পানি জমে থাকায় গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে এসেছি।”

এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পরীক্ষার্থী আহনাফ আকিব বলেন, “পরীক্ষার আর মাত্র ৬ দিন বাকি। চারদিকে থৈ থৈ পানি। ঘরে পানি, সড়কে পান♒ি। পরীক্ষার কোনো প্রস্তুতি নেওয়া যাচ্ছে না।”

ফেনীর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. একরাম 🗹উদ্দিন বলেন, “পাহাড়ি ঢলের পানি না নামলে এসব জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ꩵহবে।”

জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, “বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত𒉰 মৎস্য চাষিদের তালিকা তৈরির কাজ চল🐈ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।”

🅘জেলার পা♏নি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, “মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনটি স্থানে পানির গতি কমে গেলে বাঁধ সংস্কার কাজ করা হবে।”  

পানি উন্নয়ন বোর꧂্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. রাফিউস সাজ্জাদ বলেন, “নদীর নাব্যতা ও সরু হয়ে যাওয়ায় নদীতে পানির ধারন ক্ষমতা কমে গেছে। ১২২ কিলোমিটার নদী খননসহ দুই পাশে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে ৭৩১ কোটি টাকার মেগা প্রক🌄ল্প নেওয়া হয়েছে।”

এ বিষয়ে ফেনীর জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্🤡তার বলেন, “বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের কাজ চলছে। তবে এই ক্ষতির পরিমাণ ক্রমেই পর﷽িবর্তন হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে।” 

Link copied!