কুমিল্লা গত এক মাসে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা কমলেও ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। কুমিল্লায় গত আগস্টে খুনের ঘটনা ঘটেছে ৬টি। এসময় ধর্ষনের অভিযোগে মামলা হয়েছে ১৩টি, নারী ও শিশু নির্যাতনে🀅র ঘটনায় মামলা হয়েছে ১১টি। এর আগে জুলাইয়ে ধর্ষণের মামলা ছিল ৬টি। আগস্টে চোরাচালান মামলা হয়েছে ১১টি। জুলাইয়ে ১০টি হত্যাকাণ্ড হলেও আগস্টে খুনের ঘটনা ৬টি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে রোববার (১১ সেপ্টে༒𒊎ম্বর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় এসব অপরাধ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
এ সময় কুমিল্লার নবাগত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, স্থানীয় সরকার বিভাগ কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. শওকত ওসমান, জেলা সিভিল সার্জন মী꧑র মোবারক হোসাইন, র্যাবಌ কুমিল্লার অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওমর ফারুকসহ বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
গুরুতর অপরাধ বিবরণীর তথ্য বলছে, গত আগস্টে জেলায় একটি ডাকাতি, দুটি অপহরণ, ছয়টি খুন, ১৩টি ধরꦜ্ষণ, ১১টি নারী ন𓆉ির্যাতন, ১৮টি চুরি, ১১টি চোরাচালানসহ ৩৯১টি অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। এছাড়া এক মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোট ৫টি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জানানো হয়, গত এক মাসে𒐪 ১৭৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে ৩৪৬টি মামলা দায়ের করা হয়। এ সময় ২৫ লাখ ৩৯ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর আগের মাস জুলাইয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছিল ১৬৭টি। মামলা ছিল ৪০৯টি এবং ১৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭০০ টাকღা জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান রোধে গত এক মাসে জেলা টাস্কফোর্স ৪৪টি অভিযানে ২১ মামলায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার এবং চার লাখ ৯৭ হাজার টাকার মালামাল জব্দ করা হয়। জেলা পুলিশের ৩ হাজার ৩৫৯ অভিযানে ১৪৯ মামলায় ১৯০ জন গ্রেপ্তার এবং ১ কোটি ৮৪ লাখ ৯৩ হাজার ১৪৫০ টাকার মালামাল জব্দ করা হয়। বিজিবির ১൲ হাজার ৯৪৯ অভিযানে ২০৭ মামলা করা হয়। জব্দ করা হয় ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭৯০ টাকার মালামাল।
র্যাব-১১ গত এক মাসে ৪০ অভিযানে ৪০ মামলায় ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় ৪ কোটি ২৩ ল🅰াখ ৭০ হাজার ৭০০ টাকার মালামাল জব্দ করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ১১৫ অভিযানে ৪২টি মামলায় ৪৩ জনকে আটক করে। এসময় ১৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৫০ টাকার মামামাল জব্দ করা হয়। এ ছাড়া বন বিভাগ, কাস্টমস ও ভ্যাট কার্যালয় পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছে।
