• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪, ৫ ভাদ্র ১৪৩১, ১৫ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দী


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম
বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দী

কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণের কারণে তলিয়ে গেছে নোয়াখালীর বিভিন্ন অঞ্চল। জেলার ৯টি উপজেলার সবকটিতেই বসতঘর, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন🐻্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী🥂 হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। এতে বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বন্যার আতঙ্ক।

জানা গেছে, ভারি বর্ষণের কারনে জেলার সদর, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, বেগমগঞ্জ, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর উপজেলার বেশিরভাগ নিচু এলাক🗹া প্লাবিত হয়েছে। এতে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব উপজেলার বাসিন্দারা।

বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে আমন ধানের বীজতলা, শাক-সবজি। এছাড়া মাঠে পানি বেশি থাকায় অনেক এলাকার কৃষক খেতে আমন লাগাতে পারছেন না। জলাবদ্ধতায় আটকে আছে ২০ লাখ মানꦛুষ। ডুবে গেছে সড়ক, বাসাবাড়িতেও ঢুকছে পানি। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় দীর্ঘ সময়ের ব্যাপক জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ🌞ে পড়তে হচ্ছে নোয়াখালীবাসীর। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় দ্রুতই জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন পানিবন্দী মানুষ।

আবহাওয়া অফিস বলছে, সোমবার (১৯ আগস্ট) ভোর ৬টা 🌺থেকে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল ৬টা পর্য🐽ন্ত ১৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দিনেও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

জেলার সদর উপজেলার পশ্চিম চর উরিয়ার বাসিন্দা রেজাউল হক বলেন🐬, “টানা কয়েক দিন🐻ের ভারি বর্ষণে বাড়ির চারপাশে পানি ওঠে গেছে। ডুবে গেছে চলাচলের রাস্তা। গতরাতের টানা বৃষ্টিতে পানি এখন রান্না ঘরে ঢুকে গেছে। বাড়ির কেউই ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। যার কারণে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।”

অটোরিকশাচালক মোজাম্মিল বলেন, “শহরের সব রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। মানুষের বাসার ভেতরে পানি থৈ থৈ করছে। এতে মানুষ বাসা থেকে বের হতে পারছেন না। রাস্তা ফাকা হয়ে গেছে। যার কারণে কোনো যাত্রী পাচ্ছি না🌟। বাড়িতেও পরিবারের লোকজন পানিবন্দী রয়েছে। কীভাবে বাঁচব, কিছুই বুঝতে পারছি না।”

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন বলেন, “রাস্তাঘাট ডুবে এখন মানুষের বসতঘরে পানি ঢুকে ꦯগেছে। মাছের ঘেরসহ সব ভেসে গেছে। এত পানি আগে দেখিনি। বৃষ্টি হলে পানি নেমে যায় কিন🅘্তু এবার পানি নামছে না।”

নোয়াখালীর আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে। সোমবার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর𝔉্যন্ত ১৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দিনেও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। যেহেতু সতর্ক সংকেত চলছে আমরা জেলেদের তীরবর্তী স্থানে থাকতে বলেছি।🤡”

পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সি আমির ফয়সাল বলেন, নোয়াখালীতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। যা বিগত ২০ বছরেও হয়নি। এছাড়া জোয়ার থাকায় পানি নামতে পারছে না। আমরা 𓆉জলাবদ্ধতা রোধ প্রকল্পে শহর ও আশপাশের ১৬১ কিলোমিটার খাল খনন করেছি। এতে করে সব উপজেলায় পানি নিষ্কাশন হওয়ার কথা। তাছাড়া পুরোপুরি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে ড্রেন ও নালা রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন।”

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, “সকলের সহযোগিতায় আমরা জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছি। 𓃲ইতোমধ🎉্যে বিভিন্ন অবৈধ বাঁধ কেটে পানি স্বাভাবিক করার কাজ শুরু হয়েছে। বৃষ্টিপাত কমে গেলে পানি কমে যাবে। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য উপজেলা পর্যায়ের সকল মাধ্যমিক, প্রাথমিক প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বলা হয়েছে। যেখানে যে সহযোগিতা প্রয়োজন আমরা করছি।”

Link copied!