• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪, ৫ ভাদ্র ১৪৩১, ১৪ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


দীপু মনির ৪, জয়ের ৫ দিনের রিমান্ড


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম
দীপু মনির ৪, জয়ের ৫ দিনের রিমান্ড
আদালত প্রাঙ্গণে ডা. দীপু মনি ও আরিফ খান জয়। ছবি : সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার মিছিলে মোহাম্মদপুরের মুদিদোকানি আবু সায়েদকে হত্যা মামলায় সাবেক সমꦺাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনির চার দিন এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়🌃ের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ঢাকᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন শুনানি শেষে এ রিমান্ড আদেশ দেন।

এর আগে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত🌸 কর্মকর্তা মোহা💞ম্মদপুর থানার পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতಌিরিক্ত আইজিপি হারুন অর রশীদ ও অতিরিক্ত যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমারসহ অজ্ঞাতনামা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্𓄧যরা খুনি, ক্ষমতালোভী ও নির্যাতনকারী হিসাবে ইতোমধ্যে চিহ্নিত।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি কোটা সংস্কারের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। গত ১৮ জুলাই থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গতি সঞ্চার হয়। ছাত্র-জনতার এ আন্দোলনকে দমানোর জন্য বিগত আওয়ামী লীগ সরকার শুরু করে। আসামি শেখ হাসিনা এবং ওবায়দুল কাদের নির্দেশে পুলিশ বাহিনী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছাত𝓀্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জুলাই বিকেল ৪টায় মোহাম্মদপুর থানাধীন বসিলা ৪ꦗ০ ফিট চৌরাস্তায় হাজার হাজার ছাত্র-জনতা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল করছিল। সেই আন্দোলন দমনের জন্য পুলিশ নির্বিচারে আন্দ🐷োলনকারীদের ওপর গুলি চালায়। উক্ত সময় মোহাম্মদপুরস্থ বসিলা ৪০ ফিট চৌরাস্তায় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ (৪৫) রাস্তা পার হয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সঙ্গে সঙ্গে মারা যান। তার মাথার এক পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়।

এতে বলা হয়, আবু সায়েদ গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর স্থানীয়রা তার লাশ গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মাড়োয়া বামনহাট ইউনিয়নের নতুন বস্তি প্রধানহটে পাঠিয়ে দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানেই তাকে দাফন করা হয়। পুলিশের গুলিতে🍷 গরীব মুদি দোকানদার আবু সায়েদের মৃত্যু হয়। সচেতন নাগরিক হিসেবে অত্র মামলার বাদী আবু সায়েদ হত্যার বিচার দাবি করে এ মামলা করেไছেন। ছাত্র-জনতার যৌক্তিক দাবিকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল। কোনো প্রকার উসকানি ছাড়া পুলিশ এজাহারে বর্ণিত আসামিদের নির্দেশে অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা গুলি করে আবু সায়েদকে হত্যা করেছে।

আবেদনে বলা হয়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলন চলাকালে তা শক্ত হাতে দমন করার নির্দেশ দিয়েছেন। আসামি ওবায়দুল কাদের বিভিন্ন সময় শক্ত হাতে দমন করার নির্দেশ দিয়েছেন। আসামি সাবেক ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজ🐠িপি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন,🅺 ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি হারুন-অর-রশীদ ও অতিরিক্ত যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার আন্দোলন দমাতে তাদের অধিনস্থ পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন। আসামি আসাদুজ্জামান খান কামাল পুলিশকে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি করার নির্দেশ দেয়। অন্যান্য অজ্ঞাতনামা পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর নির্দেশে হত্যাকাণ্ড ঘটে।

রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার নিরীহ ছাত্র-জনতাকে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে হত্যা করে। আꦅইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া আবশ্যকꦜ বিধায় বাদী এ মামলা করেন।

Link copied!