ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণের জন্য ৭০ জন আম্পায়ারের পরীক্ষা নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাতে দক্ষতা প্রমাণ করতে পেরেছেন মাত্র ৯ আম্পায়ার। ৬১ জনই ফেল করেছেন। ফেলের হার ৮৭.১৪ শ🦄তাংশ।
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মাধ্যমে আম্পায়ারদের এই পর🐈ীক্ষা নেয় বোর্ড। তিনটি বিভাগে তথা রাইটিং, স্পিকিং এবং রিডিংয়ে আলাদা আলাদা নম্বরের পরীক্ষা হয়। তিনটি বিভাগের নম্বর যোগ করে ৭০ আম্পায়ারকে তিনটি ধাপে ফেলা হয়। বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সব বিভাগে দক্ষতা প্রমাণ করা ৯ আম্পায়ার আছেন প্রোফিসিয়েন্ট (দক্ষ) ইউজার ক্যাটাগরিতে। ৯ জনের মধ্যে তিনজন নারী আম্পায়ার। ১০ থেকে ৩১ পর্যন্ত ২২ জন আছেন ডেভলপিং (উন্নতির দিকে) ইউজার ক্যাটাগরিতে। আর ৩২ থেকে ৭০ জন আছেন বেসিক ইউজার ক্যাটাগরিতে। অর্থাৎ প্রথম ▨৯ জন ছাড়া বাকি ৬১ জনই এখনো ইংরেজিতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার মতো দক্ষ নন।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) থেকে শুরু করে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) কিংবা আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরি🦹চালনার জন্য ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। ভাষার অদক্ষতা থাকলে ডিপিএল কোনোমতে পার করতে পারলেও বিপিএল কিংবা আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ে আম্পায়ারের।
আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু বলেন, একজন আম্পায়ারকে ম্যাচ পরিচালনার জন্য ইংরেজি ভাষ💝ায় অবশ্যই দক্ষ হতে হবে। না হয় বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলবে কিভাবে? আমরা যেহেতু আন্তর্জাতিক মানের আম্পায়ার তৈরি করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তাই ভাষার দিকেও জোর দিয়েছি।
মাঠে যে কোনো পরিস্থিতি সামলানো ছাড়াও আম্পায়ার্স রিপোর্ট লিখতে হয়ে ইংরেজিতে। সে ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় অদক্ষতা থাকলে রিপোর্টেও সঠিকভাবে বিষয়গুলো তুলে ধরতে পারবেন না।