• ঢাকা
  • শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


নতুন বছরের ভাবনা

শিক্ষাঙ্গন হোক দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির পীঠস্থান


জান্নাতুল যূথী
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০২২, ০২:২২ পিএম
শিক্ষাঙ্গন হোক দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির পীঠস্থান

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড; কথাটি বহুলচর্চিত ও কথিত হলেও জাতির প্রকৃত শিক্ষা কতটা গ্রহণীয় হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। দিন দিন শিক্ষিতের গড় হার বাড়ছে। তবে আসলেই কি প্রকৃত মানবসম্পদ গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছি আমরা?ꦏ না কি পুঁথিগত বিদ্যার কচকচানিতেই সীমাবদ্ধ থাকছে শিক্ষা। প্রাইমারি-মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন বছরে শিক্ষাখাতে বিশেষ পরিবর্তন সূচিত হবে। এর পক্ষে-বিপক্ষে নানা অভিমত বিদ্যমান।

২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন হবে, যার মধ্যে দিয়ে আমাদের সন্তানেরা পুরোপুরি নতুন কারিকুলাম পেতে যাচ্ছে। এই শিক্ষাক্রমের শক্তিশালী ও ইতিবাচক দিক থাকলেও তা কতটা বাস্তবায়ন করা যাবে সেটাই জাতির প্রশ্ন। সম্ভাবনাময় এই শিক্ষাক্রমটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের সামনে বড় চ্যালে🍎ঞ্জ দেখা দেবে। তবে, যদি সঠিক ও পরিকল্পনামাফিক এগুনো যায়; তবে সেসব সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে আশা করি। পাশাপাশি সমগ্র জাতিকে নিজস্ব দায়বোধের যথাযথ প্রতিপালন করতে হবে।

নতুন বছরে সংক্ষেপে শিক্ষাক্রমের পরিবর্তনটা এমন

১. ২০২৩ সাল থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সপ্তাহে শুক্র-শনিবার ২ ♛দিন ছুটি থাকবে।

২. দশম শ্রেণির আগে কোনো কেন্দ্রীয় 💟পরীক্ষা থাকবে না। অর্থাৎ বর্তমানে যে পিএসসি, জেএসসি, জেডিসি প্রভৃতি পরীক্ষা আছে, সেগুলো থাকবে না।

৩. তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা থাকবে না।

৪. চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৪০ এবং একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণিতে ৩০ শতাংশ ম🔯ূল্যায়ন হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

৫. বর্তমানে বিজ্ঞান, মানবিক, বিজনেস বলে মাধ্যমিকের ব♔িভাগ আর থাকবে না। এটি চালু হবে একাদশ শ্রেণিতে।

৬. প্রাক-প্রাথমিকে💫 শিশুদের জন্য আলাদা বই থাকবে না। শিক🗹্ষকরাই পড়াবেন-শেখাবেন।

৭. প্রাথমিকে পড়তে হবে আটটি বই।

৮. নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১০ ধরনের শেখার ক্ষেত্র ঠিক করা হয়েছে। এগুলো, ক. ভাষা ও যোগাযোগ;🙈 খ. গণিত ও যুক্তি; গ. জীবন ও জীবিকা; ঘ. সমাজ ও বিশ্ব নাগরিকত্ব; ঙ. পরিবেশ ও জলবায়ু; চ. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি; ছ. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি; জ. শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা; ঝ. মূল্যবোধ ও নৈতিকতা; ঞ. শিল্প ও সংস্কৃতি।

শিক্ষাক্রমের পরিবর্তনের 🥂মাধ্যমে এটা সুস্পষ্ট যে, আমাদে🥃র শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। তবে এই পরিবর্তন কতটা ইতিবাচকতার পথে অগ্রসর হবে সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থেকে যায়। এ বিষয়ে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে শিক্ষকদের সম্পর্কে। নতুন কারিকুলাম এবং সে অনুযায়ী শিক্ষা দান করতে হলে আগে শিক্ষকদের যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ জরুরি।

আমরা জানি, কারিকুলাম পরিবর্তনের চেয়ে বাস্তবায়ন জরুরি। ফলে সেই কাজটা কতটা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে, এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ১০ থেকে ১২ বছর পর কারিকুলাম বাস্তবায়ন 𒁃ও পরিমার্জন করতে দেখা যায়। কিন্তু ♛তৃতীয় আবর্তনের (২০১১-২০১৩) মাত্র ৮ বছরের মাথায় চতুর্থবারের মতো শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের কাজ শুরু হয়েছে। নতুন কারিকুলাম প্রণয়নে ২০১৭ সালে কাজ শুরু করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে যে কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা প্রদান করা হবে, সে সম্পর্কে যদি শিক্ষকদেরই পরিপূর্ণ এবং স্বচ্ছ ধারণা না থাকে তবে ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। বরং শিক্ষাব্যবস্থায় বড় ধাক্কা খেতে হবে।

২০১২ সালে যখন সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতিতে পাঠগ্রহণ এবং কার্যক্রম শুরু হলো তখন দেখা গেছে শিক্ষকেরা নিজেরাই এ বিষয়ে যথেষ্ট ধারণা রাখেননি ফ🌜লে শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারেননি কখনো কখনো। তাই কারিকুলাম প্রণয়নের পূর্বে শিক্ষার্থীরা যেন সঠিকভাবে পাঠগ্রহণ করতে পারো সেদিকে নজর দিতে হবে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষকেরা নিজেরাই অনভিজ্ঞ হলে যত কারিকুলাম পরিবর্তন হবে, তত জটিলতা বাড়বে। তাই নতুন বছরে শিক্ষাখাতে শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।

শিক্ষা কোনো একক গ্রহণীয় বিষয় নয়। প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সরকারের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। শিক্ষাখাতে পরিবর্তন আনার জন্য তাই প্রত্যেক শিক্ষকের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মানসিকভাবে শিক্ষার্থীদের সহায়ক করে তুলতে হবে। শিক্ষকদের মনে রাখতে হবে, এটা ꦍকোনো পেশার আওতায় নয়, বরং এট🍎ি একটি অন্যতম সেবামূলক কাজ। তাই শিক্ষকদের মানসিকতারও পরিবর্তন আনতে হবে। সেইসঙ্গে শিক্ষক নিয়োগে কারচুপি, জালিয়াতি, স্বজনপ্রীতি, রাজনৈতিক বাতাবরণ বাদ দিতে হবে।

প্রকৃত মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখা প্রয়োজন জাতি যদি প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণের পথে বাধাপ্রাপ্ত হয় তবে ভবিষ্☂যৎ প্রজন্ম মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই শিক্ষার ꦦসঙ্গে যারা ওতপ্রোতভাবে জড়িত সেই জায়গা মসৃণ রাখতে হবে। শিক্ষককে হতে হবে দক্ষ, যোগ্য, ধৈর্যশীল, ন্যায়পরায়ণ, সৎ ও অসাম্প্রদায়িক মনোভাবের অধিকারী। শিক্ষার্থীরা যেন তাদের জীবনাদর্শের সঠিক সংজ্ঞা নিরূপণ করতে পারে।

শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে নতুন কারিকুলামের দিকে দৃষ্টিপাত করলে একটু দ্বিধান্বিত হতে হচ্ছে। কারণ দশম শ্রেণিতে যেখানে ১০ ধরনের শেখার ক্ষেত্র বিভাজি♋ত হয়েছে, সেক্ষেত্রে শিক্ষক কিভাবে নিয়োগ দেওয়া হব🎉ে? কোন শিক্ষক কোন বিষয়ের শিক্ষাদান করবেন। পরিবেশ ও জলবায়ু, মূল্যবোধ ও নৈতিকতা, শিল্প ও সংস্কৃতি প্রভৃতি পাঠ্যের শিক্ষক কারা হবেন। তাই পরিবর্তিত কারিকুলাম বাস্তবায়নের আগে উল্লিখিত বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আমরা জানি, নতুনের প্রতি সবার খানিক অনাগ্রহ কাজ করে। যদিও সময়ের সঙ্গে সবই ঠিক হয়ে যায়। তাই প্রথম পর্যায়ে পরিবর্তিত কারিকুলামে শিক্ষাব্যবস্থাকে মসৃণ করতে সবার সম্মিলিত সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব গড়ে তুলতে হবে।

শিক্ষকেরা তখনই যথাসাধ্য পরিশ্রম করতে উদ্যোগী হবে, যখন পেশাগত কোনো জটিলতা থাকবে না, সমাজে মান-মর্যাদা থাকবে। পারিবারিক জটিলতা থাকবে না। এজন্য প্রয়োজন শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো। আমরা জানি, এমনও অনেক স্কুল-কলেজ আছে, যেখান বর্তমান সময়ে এসেও ৭ থেকে ৮ হাজারের মধ্যে একজন শিক্ষক রাখা হচ্ছে। এই ন্যূনতম বেতনে শিক্ষকের নিজের চলাই দায়; সেখানে পরিবারের দেখভাল কিভাবে হয়। যেহেতু শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একে অন্যের পরিপূরক ফলে শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ শিক্ষা দিতে শিক্ষকদের র𒈔াখতে হবে দ্বিধামুক্ত, সংকোচমুক্ত, জটিলতামুক্ত। তাই নতুন বছরে শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে শিক্ষকদের ভাগ্যন্নোয়ন করতে হবে। তাদের মান-মর্যাদা বৃদ্ধি করতে হবে। মানবিক, আধুনিক, বিজ্ঞান ভিত্তিক, যুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা গড়তে হলে শিক্ষকদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।

নতুন বছরে শিক্ষার্থীরা তাদের জীবন সম্পর্কে সচেতন হবে। শুধু সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য শিক্ষায় অগ্রসর হবে না। আমরা জানি পুঁথিগত বিদ্যা জীবন-মান উন্নয়নের পথে সম্পূর্ণ সহায়ক নয়। এ জন্য দরকার সুশিক্ষা। অর্থাৎ জ্ঞান অর্জন, আনন্দ লাভের মাধ্যমে শিক্ষায় শিক্ষায় অগ্রসর হতে হবে। এসএসসি বা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে বড় একটা চাকরিপ্রাপ্তির আশায় প্রকৃত বিদ্যা অর্জন সম্ভব নয়। তাই সার্টিফিকেট অর্জনের পথে 🐟না হেঁটে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। চাকরি বা কোনো উদ্দেশ্যে হাসিলের মুখস্থবিদ্যা উগড়ে দিয়ে একটা সার্টিফিকেট অর্জনই যেন কাম্য হয়ে না ওঠে।

শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অশনিসংকেত পরিলক্ষিত হয় অভিভাবকদের প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তিকে কেন্দ্র করে♈। অভিভাবকেরা সব🐼সময় সন্তানের ফালো ফলের দিকে নজর দেন। কে জিপিএ ৫ পেলো, কে পেলো না, ভালো ছাত্র-খারাপ ছাত্র নির্ধারণের একটা মাত্রা হয়ে উঠেছে এটি। যতদিন অভিভাবক, শিক্ষকদের মধ্যে এই মানসিকতা বর্জিত না হবে; ততদিন প্রকৃত শিক্ষা বাধাপ্রাপ্ত হবে। মানুষ জ্ঞান অর্জন করে আনন্দ লাভের জন্য, বিকাশের জন্য কিন্তু তা যদি গলগ্রহ হয়ে ওঠে। তবে প্রকৃত রসদ বা প্রাপ্তির ঘর অপূর্ণ থেকে যাবে। এছাড়া অভিভাবকেরা যখন গড্ডলিকাপ্রবাহে গা ভাসাবে তখনই কোচিং ব্যবসায়ী বা বাইরের শিক্ষা ভিত্তিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো আরও মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। তাই শিক্ষার্থীরা ক্লাসেই যেন পরিপূর্ণ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে।

এবার বিশদভাবে আসা যাক নতুন শিক্ষাক্রমে। আনন্দের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জনই হলো শিক্ষা। নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী দুই একটি বিষয় বিশদভাবে ভাবার প্রয়োজন আছে৷ এসএসসি পর্যন্ত কোনো কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নেই। এর ফলে একদিকে শিক্ষার্থীরা যতটা উপকৃত হবে। ঠি🌞ক ততটাই পিছিয়ে পড়বে। কারণ বড় ধাপে যাওয়ার আগে ছোট ছোট বাধা পেরুলে অভিজ্ঞতা বা জানার ভিত্তি  শক্ত হয়। চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৪০ আর একাদশ শ্রেণিতে ৩০ শতাংশ মূল্যায়ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই বিষয়ে সুফলের চেয়ে দুর্ভোগ বেশি পোহাতে হবে শিক্ষার্থীদের। কারণ𓄧 শিক্ষার্থীরা তখন স্কুল শিক্ষকদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। এর ফলে অনেক শিক্ষক তার কাছে প্রাইভেট না পড়লে, তার প্রতি বিরূপ হলে ব্যক্তিগত আক্রোশ উগড়ে দেবে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনে নানারকম জটিলতা দেখা দিতে পারে। আবার প্রাক শিশুদের আলাদা বই থাকবে না। এটি যেমন সুবিধার তেমনিই শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভাজন সৃষ্টি করবে। কারণ বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষকই নিজের মতো করে পাণ্ডিত্য জাহির করতে চাইবেন। এর ফলে একই বয়সের শিক্ষার্থীদের মধ্যে জানার, বোঝার বা জ্ঞানের পার্থক্য দেখা দেবে। তাই বই না থাকলেও তাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট টপিক এবং সিলেবাস সংযুক্ত করতে হবে। হঠাৎ করে প্রাথমিকে গিয়ে আটটি বইয়ের ভার গ্রহণের ক্ষমতা সৃষ্টি করা কষ্টদায়ক হয়ে পড়বে। তাই শিক্ষার্থীদের অভিযোজন ক্ষমতা বা টিকে থাকার ক্ষমতা সৃষ্টির জন্য হলেও তাদের নিয়ে আরও গভীরভাবে ভাবা প্রয়োজন।

দশম শ𓆉্রেণি পর্যন্ত একই শিক্ষাক্রমের আওতায় এটা যদিও প্রশংসনীয় উদ্যোগ তবে এর জন্য𓂃 অনেক বিষয় কেটেছেটে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হবে হয়তো। যার ফলে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। শিক্ষকেরা কতটা সাহায্যপূর্ণ মনোভাব নিয়ে পাশে দাঁড়াবে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

নতুন বছরে আমাদের একটাই প্রত্যাশা শিক্ষার্থীরা যেন পুঁথিগত বিদ্যার্জনে হুমড়ি খেয়ে না পড়ে। সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষা পরিহার করে সামনের দিকে এগিয়ে যাক আগামীর সন্তান। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সরকারের সম্মিলিত উদ্যোগে প্রকৃত মানবসম্পদ গড়ে উ⛦ঠুক।

লেখক : শিক্ষক ও গবেষক।

Link copied!