• ঢাকা
  • শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


নারীকে হতে হবে পোষ না মানা বাঘিনীর মতো


তানিয়া কামরুন নাহার
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৩, ০৭:০৮ পিএম
নারীকে হতে হবে পোষ না মানা বাঘিনীর মতো

নারী পুরুষের মধ্যে সীমারেখা টান✨তে গিয়ে অনেকেই এমন তুলনা করে থাকেনᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚ যে শিয়ালেরাই মুরগির স্বাধীনতা চায়। তাতে শিয়ালের কুমতলব হাসিল হয়। 

এভাবে নারীদের মুরগি আর পুরুষদের শিয়ালের সঙ্গে তুলনা করা🌃 আসলে সমস্যার কোনো সমাধান নয়। বরং এতে সমস্যা আরও বাড়ে। এটা সত্য যে, শিশু ও নারীরা কিছু ব্যক্তির কাছে সত্যি নিরাপদ নয়। এই যে, এত ধর্ষণ হয়, শিশুরা এবিউজ হয়, এর জন্য বিচারহীনতার পাশাপাশি সবার অসচেতনতাও দায়ী। সেক্ষেত্রে অল্প বয়সী মেয়েদের সতর্ক করা যেতে পারে। আজকাল ভালো ও মন্দ স্পর্শ নিয়ে কিন্তু অনেক সচেতনতামূলক আলাপ হয়। হয়, কারণ, নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য এটার দরকার আছে। সচেতনতা তৈরি করতে গিয়ে নারীদের মুরগি আর পুরুষদের শিয়ালের সাথে তুলনা করাও ঠিক শোভন নয়। এটা উভয়পক্ষের জন্যই অপমানজনক। কেননা, নারীরা মুরগি নয় যে, তাদের শুধু লাভজনক কারণে বন্দী করে পুষবেন। পরনির্ভরশীলতা নারীদের জীবনকে আরও কষ্টকর করে তুলবে। বরং নারী ও টিনএজ মেয়েদের সচেতন হতে হবে। 

এটা ঠিক যে, কিছু নারী ব্যক্তিস্বাধীনতা ভোগ করতে গিয়ে এত বেশি উগ্র জীবন যাপন করেন যে, শেষ পর্যন্ত নিজের প্রতিও আত্মসম্মান রাখতে পারেন না। নিজের জীবনকে এভাবেই জটিল বানিয়ে ফেলেন তারা। মিডিয়ার নারীদের একের পর এক আত্মহত্যা, প্রেম বিয়ে নিয়ে স্ক্যান্ডালগুলো এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে প্রথমেই চলে আসে। শুধু মিডিয়ার নারী কেন, অনেক সাধারণ নারীর মধ্যেও ইদানীং মাদকাসক্তি, হতাশা, বিষণ্ণতা, আত্মহত্যা বেড়ে যাচ্ছে। এ🍷গুলো কোনো স্বাভাবিক জীবন যাপন নয়। কোথা👍য় গিয়ে থামতে হবে, এটা অনেকেই বোঝেন না, ফলে জীবনটাকে বিষাক্ত বানিয়ে ফেলেন। 

স্বাধীনতা মানে নিজের অধীনে থাকা। এট✃া আগে বুঝতে হবে। কী করলে পরিণতি কী হবে, এটা মনে রাখলে নিজেকে আর মুরগি মুরগি মনে হবে না। মুরগি হয়ে থাকতে চাইলে সুযোগসন্ধানীরা দুর্বলতার কারণে আরও বেশি ক্ষতি করা সুযোগ পাবে। বরং হতে হবে পোষ না মানা বাঘিনীর মতো। তাহলে কুমতলবকারীরা আর সাহস পাবে না। কী করলে কী পরিণতি হবে, এ শিক্ষা শুধু নারীর নয়, পুরুষেরও দরকার। চিন্তা করে দেখুন, সুযোগসন্ধানী এইসব পুরুষ, যারা নারীর অসহায়ত্ব, দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে থাকেন, তাদের মধ্যেই বা কয়জন শান্তিতে আছেন?

নিজের আয়নার সামনে সবাইক𓂃েই দাঁড়াতে হয়। ওখানে নিজের মুখ দেখতে লজ্জা করবে না? সবাই তো আর ক্ষমতাধর বিশিষ্ট শিল্পপতি বা জনপ্রিয় নায়ক (!) নন যে, সব ক✤িছু সামাল দিয়ে ফেলতে পারবেন। সুতরাং শুধু শুধু শিয়াল তকমা কেন নিজের ঘাড়ে নেবেন? তার চেয়ে বরং মানুষ হোন।

লেখক : শিক্ষক

Link copied!