জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় অর্থনীতিতে বহুমাত্রিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় শুল্ক ছাড় দিয়ে 💛জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য সমন্বয়ে সরকারকে চিঠি দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
রোববার (১৪ আগস্ট) চিঠিটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়। তবে ওই চিঠির বিপরীতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো 💛জবাব দেওয়া হয়নি।
বুধবা꧂র (১৭ আগস্ট) এফবিসিসিআই সূত্রে এ তথ্♒য জানা গেছে।
এফবিসিসিআই -এর পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, দেশের অর্থনীতি বৈশ্বিক করোনা মহামারির ধকল সামলে পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম ও জাহাজ/পরিবহন ভাড়া প📖্রতিনিয়ত বাড়ছে। এতে উৎপাদন খরচও ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে। ফলে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ অবস্থায় সম্প্রতি জ্বালানি তেলের (ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন, পেট্রোল) মূল্য গড়ে ৪৭ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। গণ꧂পরিবহন ও কৃষি খাতে ব্যবহৃত ডিজেলের মূল্য ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এ মূল্য বৃদ্ধির হার জাতীয় অর্থনীতিতে আরও চাপ সৃষ্টি করবে। কেননা এতে উৎপাদন ও ব্যবসা খরচ আরেক দফা বেড়ে যাবে। পণ্য পরিবহনে বাড়তি খরচ হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এ বছর বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি কম হওয়ায় ফসল♓ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে কৃষকদের বাড়তি সেচের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এতে কৃষি উৎপাদনের খরচ🌠ও বাড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে প্🐼রতিযোগিতা সক্ষমতা হ্রাস পেলে দেশের রপ্তানি খাতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যেখানে ব্যবসাবান্ধব বিভিন্ন নীতি সহায়তার মাধ্যমে সরকার দেশের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করার আন্তরিক প্রয়াস চালাচ্ছে, সেখানে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি শিল্প-বাণিজ্য, সেবা, কৃষিসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। একই সঙ্গে বহুমাত্রিক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে, যা জনজীবনের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দ🅠েবে।
এ অবস্থায় শুল্ক-কর প্রত্যাহার করে তেলের মূল্য সমন্বয় করার দাবি জানিয়েছে এফবিসিসিআ🐬ই।
জ্বালানি তেলের ওপর বর্তমানে ম🧸োট ৩৪ শতাংশ করভার (শুল্ক ১০ শতাংশ, মূসক ১৫ শতাংশ ও অগ্রিম কর ৫ শতাংশ এবং অগ্রিম আয়কর ২ শতাংশ) আরোপিত আছে।