এক মৃত্যুর শোক কাটতে না কাটতেই আরেক মৃত্যু এক প্রবাসী শ্রমিকের পরিবারে। শনিবার যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে মারা গেছেন তার ছেলে জিসান। সোমবার (২৯ জুলাই) আত্মহত্যা করেছেন জিসানের স্ত্রী। এলাকাবাসী বলছেন, জিসানের শোকেই এমন ঘটনা। ১৪ মাস আগে বিয়ে হয় জিসান ও মিষ্টির।
সড়ক দুর্ঘটনার ভয়ে ছেলেকে মোটরসাইকেল কিনে দেননি বাবা বাবুল সরদার। কিন্তু সাম্প্রতিক সহিংসতায় গুলিতে মারা গেছেন একমাত্র ছেলে জিসান।
পানি সরবরাহ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন জিসান আহমেদ। এলাকাবাসী জানান, ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগে ২ নম্বর গলিতে দোকানে পানি সরবরাহের সময় শ্বশুরবাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ হন তিনি। ঢাকা মেডিকেলে নিলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
জিসানের শ্বশুর মতিউর রহমান বলেন, “আমরা ওপর থেকে ডাকতেছি, পুলিশ গুলি করতেছে তুমি পিছে আসো। এই গলিতে তখন লোক ভরা ছিল।”
এলাকাবাসী জানান, জিসান আহমেদ ফিল্টার পানির চাকরি করতেন। দোকানে দোকানে পানি দিতেন। স্থানীয় আরেকজন জানান, যে সময় গোলাগুলি শুরু হয়েছিল সে সময় জিসান পানি সরবরাহ করতে এসেছিলেন এখানে।
ছেলের মৃত্যুর খবরে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে আসেন জিসানের বাবা বাবুল সরদার।
প্রবাসী শ্রমিক ও জিসানের বাবা বাবুল সরদার বলেন, “সরকার থেকে বা স্থানীয় কোনো ব্যক্তি আমাকে পিঠে হাত রেখে বলেনি আমরা দুঃখিত।”
১৪ মাস আগেই প্রেম থেকে বিয়ে জিসান-মিষ্টির। জিসানের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন মিষ্টি। সোমবার সকালে আত্মহত্যা করেন তিনি। পরে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে।