শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (২৬ জুন)। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবির আন্দোলনের সূচনাকারী জাহানারা ইমাম ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৪ 🐠সালের এই দিনে মারা যান।
൩১৯২৯ সালের ৩ মে মুর🍸্শিদাবাদ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন জাহানারা ইমাম। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তিনি পুত্র শাফী ইমাম রুমী ও প্রকৌশলী শরিফ ইমামকে হারান। একাত্তরের পর দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান রোধে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
১৯৯১ সালের ২৯ ডিসেম্বর গোলাম আযমকে জামায়াতে ইসলামী তাদের দলের আমির ঘোষণা করলে শুরু হয় জনবিক্ষোভ। জামায়াতের এ ধৃষ্টতার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ৭০টি রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে ১৯৯২ সালের ২১ জানুয়ারি গড়ে ওঠে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।’ এর নেতৃত্বে ছিলেন ꦚশহীদ জননী জাহানারা ইমাম।
জাহানারা ইমামের নেতৃত্বেই এই কমিটি ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ গণআদালতের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গোলাম আযমের ঐতিহাসিক বিচার করা হয়। ১২ জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠি♐ত গণআদালতের চেয়ারম্যান শহীদ জননী জাহানারা ইমাম গোলাম আযমের ১০টি অপরাধ মৃত্যুদণ্ডযোগ্য বলে ঘোষণা করেন। তার এই প্রতীকী বিচারের পরে দেশব্যাপী এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। তৎকালীন সরকারের বিরোধিতা জেল-জুলুম সহ্য করে তিনি এই আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। আন্দোলন চলাকালীন তার ক্যানসার আরও বেড়ে যায়। আমেরিকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।