মালয়েশিয়া যেতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করেছেন হাজার হাজার যাত্রী। শুক্রবার (৩১ মে) সকাল থেকᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ভিড় করতে থাকেন তারা। অনেকে দুই তিন দিন আগে থেকেই 🐬অপেক্ষা করছেন।
নাটোরের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে তিন দিন ধরে অপেক্ষা করছেন তি𝔍নি। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত উড়োজাহাজের টিকিট হাতে পাননি হাবিবুর। যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য সাড়ে ছয় লাখ টাকা জমা দিয়েছেন, তারাও এখন আর ফোন ধরছে না।
হাবিবুর রহমান বলেন, জমি বন্ধক রেখে🍰 ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সাড়ে ছয় লাখ টাকা কোম্পানিকে দিয়েছেন। কোম্পানির লোকেরা মালয়েশিয়ায় পাঠাবেন বলে তিন দিন আগে তাকে বিমানবন্দরে নিয়ে এসেছেন। এখন আর তারা ফোন ধরছেন না। তিনি কোম্পানির অফিসে লোক পাঠিয়েছিলেন, সেখান থেকে তাꦬকে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।
হাবিবুর আক্ষেপ করে বলেন,🌳 “দেশে কৃষিকাজ করে কষ্ট করে সংসার চালাতাম। সংসারে একটু সচ্ছলতা আনতে ঋণ করে ও জমি বন্ধক রেখে বিদেশে যাওয়ার উদ্যোগ নিই। বিদেশে যেতে না পারলে কীভাবে সংসার চালাব, ঋণ পরিশোধ করব?”
শুধু হাবিবুর নয়, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে শুক্রবার হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছেন। তারা বলছেন, আজকের পর🔯 থেকে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া আর কোনো শ্রমিক নেবে না। আজকের মধ্যে যেতে না পারলে তারা♏ আর মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন না। অনেক টাকা খরচ করেছেন, এখন বিদেশে যেতে না পারলে দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।
নরসিংদীর রুবেল মিয়া নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতে মালয়েশিয়ায় যেতে চান। এ জন্য আহাদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ছয় লাখ টাকা দিয়েছেন তিনি। দুদিন ধরে ঢাকার বিমানবন্দরে আরেক ভাইয়ের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন তিনি। রুবেল মিয়া বলেন, “এখনো উড়োজাহাজের টিকিট হাতে পাইনি। ফোন দিলে কোম্পানির লোকেরা বলছেন, তারা ব্যবস্থা করবেন। তাদের কথায় বিশ্বাস করে দুই দিন ধরে এখানে অপেক্ষা করছি🌞🔴।”
মালয়েশিয়াগামী যাত্রীদের ভিড় সম্পর্কে জানতে চাইলে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম বলেন, দুই দিন ধরে মালয়েশিয়াগামী অনেক যাত্রীর চাপ রয়েছে। বাড়তি এই চাপ সামဣলাতে নিয়মিত ফ্লাইটের পাশাপাশি অতিরিক্ত ফ্লাইট💧ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
চক্র তৈরি করে কর্মী পাঠানোয় অনিয়মের ঘটনায় চার বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে বাংলাদেশিদের জন্য আবার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার 🍌খোলে। তখন আবারও চক্র গঠন করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত মার্চে মালয়েশিয়া জানায়, দেশটি আপাতত আর শ্রমিক নেবে না। যারা অনুমোদন পেয়েছেন, ভিসা পেয়েছেন🉐, তাদের ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় ঢুকতে হবে।
কিন্তু এরই মধไ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে (রিক্রুটিং এজেন্সি) টাকা দেওয়া বহু মানুষ এখন বিপদে পড়েছেন। সময় আর হাতে না থাকায় উড়োজাহাজের টিকিট ছাড়াই তারা এখন বিমꦬানবন্দরে এসে ভিড় করেছেন।