আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ সম🍸ন্বয়ককে ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে করা রিটের শুনানি ছিল মঙ্গলবার (৩০ জুলাই)। তবে রায় ঘোষণার সময় রাষ্ট্রপক্ষ আইনজীবীদের কাছ থেকে রিটকারীদের নোংরা কথা শুনতে হয়েছে বলে জানিয়ে𝄹ছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন।
মঙ্গলবার (৩০ জু🙈লাই)ℱ দুপুরে হাইকোর্ট থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এদিন সব মৃত্যু খুবই দুঃখ🥃জনক বলে মন্তব্য করেন আদালত। মামলার শুনানিতে বিপুলসংখ্যক আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। রিটের সমর্থনেও অনেক আইনজীবী অংশ নেন। একপর্যায়ে হট্টগোল হয়। পরে আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য বুধবার (৩১ জুলাই) দিন ধার্য করেন।
এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের সারা হোসেন বলেন, “কোর্টের মধ্যে নোংরা কথা, ব্যক্তিগত আক💖্রমণ করা খুবই দুঃখজনক। আমাদের ব্যক্তিগত আক্রমণ শুনতে হয়েছে। প্রথমত আমরা সবাই এখানে এসেছি নাগরিক হিসেবে, দ্বিতীয়ত আদালতের আইনজীবী হিসেবে। আমাদের সংবিধানের ২১ ধারায় বলা আছে, সবার ওপর কর্তব্য রয়েছে, সবার ওপরে যেন সংবিধান ঠিকমতো প্রয়োগ করা হয়। এই দায়িত্ব নিয়ে আমরা আদালতে এসেছি, আর কিছু করার জন্য নয়।”
সারা হোসেন আরও বলেন, “কোর্টে যখন মাইক নিয়ে আমরা কথা বলার চেষ্টা করছি। মাইক চালু থাকার পরও আমাদের কথা শোনা যাইনি। কারণ, চারিদিক থেকে তখন বিভিন্ন ধরনের কথা⛎গুলো বলা হয়। এই পরিবেশ কেন কোর্টের মধ্যে রাখা হবে। যারা এই পরিবেশ তৈরি করছেন, তারা কোর্টের ওপর আস্থা রাখছেন কি না, এই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।”
এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান পান্না, ব্যারিস্টার অনীক আর হক, অ্য🌜াডভোকেট মানজুর আল মতিন প্রীতম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী।
এর আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি না চালাতে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘কথিতꦯ আটক’ ছয় সমন্বয়ককে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে সোমবার (২৯ জুলাই) হাইকোর্টে একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর🌄 আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করাಞ হয়েছে।
