• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


‘সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন হবে’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৩, ০৩:১৯ পিএম
‘সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন হবে’

আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলে🌠ছেন,🐼 “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না। এটা আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই। তবে সব আইনেই সাংবাদিকদের সুরক্ষার বিষয়টি রাখা হবে।”

বুধবার (৩ মে) বি🐼শ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ট্রান্সপা🐻রেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত ‘শেপিং আ ফিউচার অব রাইটস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, “ডিজিটাল সিকিউরিটি অও্যাক্টের যেন অপব্যবহার না হয়, আমরা সেই বিষয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর এ আইনে যখন মামলা হলেই যে মামলা গ্রহণ করা হয় তা নয়, এখন একটা সেলে পাঠানো হয়। এ সেলটা আইসিটি অ্যাক্টের একটা সেল ছিল। প্রথমে আমরা ওখানে পাঠাই। সেই অভিযোগ যদি এ আইনে মামলার করার মতো উপযোগী হয়, তখনই এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করা হয়। শুধু সাংবাদিক নয়, সব ক্ষেꦦত্রেই বলা আছে যে কেস হতে পারে, এমন কিছু স্টাবলিশ না হওয়া পর্যন্ত যে কাউকে গ্রেপ্তার করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।”

এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, “সম্পাদক পরিষদের সেমিনারে বলা হয়েছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট যখন করা হয়, তখন সম্পাদক পরিষদ ও অন্য যারা মতামত দিয়েছিলেন, তাদের মতামত গ্রহণ করা হয়নি। তাদের এমন বক্তব্য সঠিক নয়। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট যখন করা হয়, তখন আমার সঙ্গে তাদ𒊎ের আলোচনা হয়। তবে যে পর্যায়ে এই আলোচনা হয়, তখন আইনটি পার্লামেন্টে চলে যায়। তখন আমি সাজেশন দিই এবং যেটা গৃহীত হয় সেটা হচ্ছে, সংসদীয় কমিটিতে যখন এ বিলটা নিয়ে আলোচনা হবে, তখন স🉐েখানে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে এবং তাদের সংসদীয় কমিটিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তারা সেখানে বক্তব্যও দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, “ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের যে প্রয়োজনীয়তা আছে, সেটাতে সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধিরা একমত হয়েছিলেন। ওনারা বল🔥েছিলেন, ২১ ধারার শাসജ্তি কমিয়ে আনার জন্য। তাদের বক্তব্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সেই ২১ ধারার শাস্তি কমিয়ে আনা হয়েছে। দ্বিতীয় কথা ছিল, জামিন ও অজামিনযোগ্য বিষয়টি। অজামিনযোগ্য মানেই যে জামিন দেওয়া যাবে না, সেটা কিন্তু সঠিক নয়। আমি এটার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, আইনে কিছু দুর্বলতা আছে। আমরা চেষ্টা করেছি সেগুলো দূর করার।”

আইনমন্ত্রী বলেন, “আমি নিজ উদ্যোগে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি সব সময় কথা বলে যাব। কারণ, আইন সবার জন্য। তাই সব স্টেকহোল্ডার বা অংশীজনের সঙ্গে কথা বলꦐাটা আমি মনে করি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটা অংশ। বিশেষ করে প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্টের কথা বলা হয়েছে, আমি যতদূর শুনেছি সেখানে তথ্য মন্ত্রণালয় তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সেখানে কিছু বিষয় আছে, সাংবাদিক মাধ্যমের কিছু বক্তব্য এখনও বোধ হয় রয়ে গেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি আলোচনা হবে। এ পর্যায়ে আলোচনা না হলেও সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হবে। আলোচনার দ্বার সব সময় উন্মুক্ত। আমরা আলোচনা করেই এ আইন পাস🐬 করব। আলোচনা না করে আমরা কাউকে পাশ কাটিয়ে এ আইন পাস করব না।”

Link copied!