• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


সিরাজুল ইসলামের জন্মদিনে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৩, ০৫:০৭ পিএম

ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ৮৮তম জন্মদিনে ‘ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান’ বিষয়ে ন𓃲িয়ে একক বক্তৃতা ও সামাজিক-🔜সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।

শুক্রবার (২৩ জুন) বিকালে বাংলাদেশ𒀰 শ♋িশু একাডেমির মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ এস এম কা🔥মালউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক আজফার হো༺সেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী নিজেই একক বক্তব্য প্রদান করেন।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “ব্যক্তিমালিকানা প🧔রিত্যাগ করে আমাদের সামাজিক মালিকানায় যেতে হবে। ৬৯ এর অভ্যুত্থান সামাজিক মালিকানার সম্ভাবনাকে এগিয়ে এনেছিল। ৬৯ সামাজিক বিপ্লব ঘটাতে চেয়েছিল। ৬৯ এর মূল বাণ♈ী ছিল ‘সামাজিক বিপ্লবের’।”

জন্মদিনে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে 💜ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

ꦏপ্রখ্যাত প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন বিক্রমপুꦺরের বাড়ৈখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার শিক্ষা জীবন কেটেছে রাজশাহী, কলকাতা, ঢাকা ও যুক্তরাজ্যে।

ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ১৯৫০ সালে ঢাকার সেন্ট গ্রেগোরিস হাই স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করে ভর্তি হন নটরডেম কলেজে। সেখান থেকে ইন্টারমিডিয়েটে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন প্রাচ্যের অক্সফোর্🔜ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। ১৯৫৬ সালে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

এরপর নিজ এলাকা মুন্সিগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজে শিক্ষকতায় নিয়োজিত হন। এসময় জগন্নাথ কলেজেও খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন এ শিক্ষাবিদ। পরের বছর ১৯৫৭ সালে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যের লিডস ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট এবং লেজিস্টার বিশ্বব💝িদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালে তিনি মাসিক পরিক্রমা (১৯৬০-৬২), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা (১৯৭২), ত্রৈমাসিক সাহিত্যপত্র (১৯৮৪) ইত্যাদি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেন।

অধ্যাপকের পদ থেকে অবসর গ্রহণেওর পর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘নতুন দিগন্ত’ সম্পাদনা করছেন। প্রবন্ধ, অনুবাদ ও কথাসাহিত্য মিলিয়ে তার রচিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১১০টি। তার লেখা কয়েকটি বই ‘বঙ্কিমচন্দ্রের জমিদার ও কৃষক’,‘বাঙালীর জাতীয়তাবাদ’, ‘জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জনগণের মুক্তি :১৯০৫-৪৭’, ‘দুই যাত্রায় এক যাত্রী’ উল্লেখযোগ্য।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সাম্যবাদী রাজনৈতিক দর্শনে অবিচল। তার বিভিন্ন লেখায় সমাজ বিপ্লবের প্রয়োজনীয়তার কথা উঠে এসেছꦅে। তার প্রাঞ্জল ও সুখপাঠ্য রচনাগুলোতে আরও উঠে এসেছে গভীর দার্শনিকতা ও ইতিহাস𓆉 চেতনা।

শিক্ষক হিসেবেও বেশ জনপ্রিয় ছিলেন সিরাজুল ই🐟সলাম চৌধুরী। তিনি কলাম লেখক হিসেবেও জনপ্রিয়। সত্তরের দশক থেকে বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় নিয়মিত♋ কলাম লিখে আসছেন তিনি।

Link copied!