‘ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধ কর, ফিলিস্তিনি মুক্ত কর’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাজধানীতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে ফিলিস্তিন সংহতি 𝐆কমিটি।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামন🌱ে সংগঠনটি এই কর্মসূচির আয়োজন করে। এ সময় বাসদ, বাসদ মার্কসবাদী, গণফোরাম, সিপিবিসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে সংগঠনের প্রায় কয়েকশ নেতাকর্মী বিভিন্ন ব্যানার, প্লাকার্ড হাতে স্লোগান দিয়ে কর্মসূচিত🌜ে অংশ নেন। এ সময় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন কবিতা,✨ গান ও নাটক পরিবেশন করা হয়।
এরপর এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস🍰 অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ, চৌধুরী মুফাত আহমদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা বলেন, “বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই সমাবেশের মাধ্য🙈মে ইসরায়েলের অমানবিক, ফ্যাসিবাদী, নৃশংস হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে যেসব দেশ ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থানে রয়েছে তাদের প্রশংসা করছি। সমগ্র বিশ্বে ধর্ম, জাতি, লিঙ্গ, বর্ণ নির্বিশেষে অসংখ্য মানুষের প্রতিবাদ ও সংহতি কর্মসূচি এই সময়ের সব থেকে আশাব্যঞ্জক ঘটনা। আন্তর্জাতিক কোনো আইন বিধি ইসরায়েল মান্য করছে না। ইসরায়েলি বাহিনী এখন পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে।”
বক্তারা আরও বলেন, “ইসরায়েল একটি বর্ণবাদী রাষ্ট্র। ইসরায়েলের পূর্বপুরুষ হিটলারের যে নৃশংসতা দেখেছে, তা তারা ভুলে গেছে। সেই নৃশংসতা এখন তারা ফিলিস্তিনির ওপরে চালাচ্ছে। আমরা মনে করি প্যালেস্ট🤡াইনের মানুষের যে সংগ্রাম, সেই সংগ্রাম আমাদের সংগ্রাম। সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রাম। শুধু তাই নয়, এই সংগ্রাম সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিব꧑াদের বিরুদ্ধে। এই সংগ্রাম প্রতিটি দেশেই করতে হবে। এই সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিটি দেশকে সামাজিক বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সামাজিক বিপ্লব যদি প্রতিটি দেশে ঘটে তাহলে সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদের পতন হবে। তখন দেখা যাবে ইসরায়েল বলে কোনো রাষ্ট্র নেই।”
আলোচনা সভা শেষে নেতাকর্মীদের নিয়ে শাহবাগ থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কাঁটাবন, নিউ মার্কে🔯ট হয়ে কেন🌼্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।