মুজিব : দ্য মেকিং অব এ নেশন’ শিরোনামের বহুল প্রতীক্ষিত বায়োপিক দেখে জাতি অনেক অজানা তথ্য ও ইতিহাসের নতুন অধ্যায় সম্পর্কে জানতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত💎্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার শো দেখার আগে এ মন্তব্য করেন তღিনি।
ছবিটি শুক্রবার সারা দেশের সিনেমা হলে একযোগে মুক্তি পাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি সিনেমাটির সফল মুক্তির 💃ঘোষণা করছি।”
ভারতের প্রখ্য꧋াত চলচ্চিত𝐆্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও রাজনৈতিক ঘটনাবলী চিত্রিত করে ছবিটি পরিচালনা করেছেন।
প্রিমিয়ার শোর আগে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হুমায়ুন কবীর খন্দকার ও বক্তব্য রাখেন।
এ সময় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ ও সরকারে𓆏র পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ছবিটি বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় প্রযোজক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) এবং ভারতের ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (এনএফডিসি𝓰) লিমিটেড নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছে। ছবিটির ২৭ অক্টোবর ভারত জুড়ে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
ছবিটি এই বছরের ৩১ জুলাই উভয় দেশের সেন্সর বোর্ড থেকে একটি সেন্সরবিহীন সা𓂃র্টিফিকেট পেয়েছে।
ছবিটিতে ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা আরিফিন শুভ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অন্যদিকে 🐟নুসরাত ইমরোজ তিশা জাতির পিতার সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। বায়োপিকটিতে জনপ্রিয় অভিনেতা চ💖ঞ্চল চৌধুরী, প্রার্থনা দীঘি, তৌকির আহমেদ এবং অন্যান্যের বিভিন্ন চরিত্রে দেখানো হয়েছে। পুরো ট্রেলারে দেশের স্বাধীনতার পথে বঙ্গবন্ধুর মহাকাব্যিক যাত্রায় কিছু শক্তিশালী এবং মহিমান্বিত মুহূর্ত দেখানো হয়েছে।
চলচ্চিত্রটির সংগীত প্রযোজনা করেছেন খ্যাতনামা ভারতীয়🅰 সংগীত পরিচালক শান্তনু মৈত্র এবং বাংলা সংলাপ লিখেছেন বাংলাদেশের সাধনা আহমেদ, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, শিহাব শাহীন এবং অনম বিশ্বাস। ছবিটির শুটিং ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ভারতের মুম্বাইতে শুরু হয়ে একই বছরের ডিসেম্বরে শেষ হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর তাঁর নাম মুছে ফেলার বহু চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি বলেন, “ইতিহাস কথা বলে। ইতিহাসকে (মুক্তিযুদ্ধের💦) বিকৃত করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কি𒁃ন্তু এটা প্রমাণিত হয়েছে, ইতিহাসকে কখনো মুছে ফেলা যায় না।”
সূত্র : বাসস।