• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


বাবার কোলেই গুলিবিদ্ধ হয় ছোট্ট রিয়া


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৪, ০১:৫২ পিএম
বাবার কোলেই গুলিবিদ্ধ হয় ছোট্ট রিয়া
নিহত রিয়া গোপ। ছবি : সংগৃহীত

দুপুরে খাওয়ার পর ছাদ🔴ে খেলতে গিয়েছিল সাড়ে ছয় বছর বয়সী💧 রিয়া গোপ। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাস্তায় শুরু হয় সংঘর্ষ। বাসার সামনে হইহল্লা আর পথচারীদের ছোটাছুটি দেখে দ্রুত ছাদ থেকে থেকে মেয়েকে আনতে যান বাবা। রিয়াকে কোলে নিতেই একটি বুলেট এসে বিদ্ধ হয় মাথায়। মুহূর্তেই ছোট্ট দেহটি ঢলে পড়ে বাবার কোলে।

রক্তে ভেজা মেয়েকে নিয়ে তখনই হাসপাতালে ছোটেন বাবা। বাসার কাছের ক্লিনিকে চিকিৎসকরা দেখে পাঠিয়ে দিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেই রাতেই রি🌟য়ার মাথায় অস্ত্রোপচার হয়। এরপর মেয়েটিকে রাখা হয় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। চিকিৎসকেরা জানান, ৭২ ঘণ্টার আগে কিছু বলা যাবে না।

গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রিয়ার মাথায় গুলি লাগে। ওই রাতেই অস্ত্রোপচারের পর শনিব💙ার পার হয়। রোববার ও সোমবার আইসিইউতে একটু একটু করে আঙুল নাড়ছিল মেয়েটি। স্বজনদের বুকে আশার সঞ্চার হয়েছিল। কিন্তু বুধবার (২৪ জুলাই) সকালের দিকে মেয়েটির সেই নড়াচড়াও থেমে যায়। সবাইকে কাঁদিয়ে মেয়েটি চলে যায় না-ফেরার দেশে।

দীপক কুমার গোপ ও বিউটি ঘোষ দম্পতির একমাত্র সন্তান ছিল রিয়া। স্থানীয় একটি রড-সিমেন্টের দোকানে ব্যবস্থাপকের কাজ করেন দীপক। বিয়ের পাঁচ বছর পর এ দম্পতির ঘর আলো করে আসে রিয়া। এ বছরই ভর্তি হয়েছিল স্থানীয় এ💞কটি প্রা🔴থমিক বিদ্যালয়ে।

মা-বাবার সঙ্গে থাকত নারায়ণগঞ্জ সদরের নয়া💎মাটি এলাকায়। চারতলা বাড়ির ওপরের তলায় থাকত ওরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের রেশ নারায়ণগঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছিল। শুক্রবার বিকেলে নয়ামাটি এলাকায় চলছিল সংঘাত, আর গোলাগুলি। সেই গুলিতেই প্রাণ গেল ছোট্ট রিয়ার। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিয়ার মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা হয়, ‘গানশট ইনজুরি’।

বুধবার সন🐓্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে অপেক্ষা করছিলেন দীপক কুমার। সঙ্গে ছিলেন আরও স্বজনরা।

রিয়ার মরদেহ স্বজনদের কাছে ﷽হস্তান্তর করা হয় সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার কিছু পরে। মর্গ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলার আগে স্ট্রেচারে রাখা মেয়েটির মুখ দেখানো হয় স্বজনদের। মুহূর্তেই কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। রিয়ার ছোট খালা আহাজারি করতে করতে বলেন, “আমার ছোꦕট মারে, তুই আমাদের ছেড়ে চলে গেলি! তোরে ছাড়া আমরা কেমনে বাঁচব?”

একমাত্র মেয়েকে হারানোর শোকে যেন পাথর হয়ে গেছেন দীপক🥂 কুমার। মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে বিড়বিড় করে বলছিলেন, “কোথা থেকে কী হয়ে গেল, কিছুই বুঝি নাই। আমার কোলেই মেয়ের মাথা থেকে রক্ত বেয়ে পড়ছিল।” বলেই হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল🐻েন।

Link copied!