• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৩, ০২:৫৮ পিএম
গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ

চৈত্রের শেষের দিকে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে পুরো🌄 দেশ। কয়েক দিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিশেষ করে বেশি বিপাকে পড়েছ🐈েন খেটে খাওয়া মানুষ।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ১৩ এপ্রিল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে এবং শিগগিরই বৃষ্টির সম্ভাবনꩵা নেই।

আবহাওয়া অফিস জানাღয়, ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে।

রোববার (৯ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নওগাঁর বদলগাছিতে, ১৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ꧂দিন ঢাকায় সর্বোচ্চ ত🌳াপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সর্বনিম্ন ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র দাবদাহের কারণে ভিক্ষা করতে বে🍌র হতে পারেননি শারীরিক প্রতিবন্ধী মুনতাজ আলী। তিনি বলেন, “যেই গরম, শইল মনে অয় পুইড়া যায়। আইজকা দিনের বেলা আর ভিক্ষা করতে বাইর হই নাই। সারা দিন টিএনটি মাঠের কোনায় গাছতলায় বইয়া আছিলাম।”

মুনতাজ আলীর মতো দিনজুড়ে 𒈔তীব্র দাবদাহে নাকাল হয়েছে রাজধানীবাসী।

রিকশাচালক মতিন মিয়🧸া বলেন, “চৈত্রের এই তীব্র রোদের কারণে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এত গরম যে রাস্তায় দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। গরমের কারণে মানুষ কম বের হচ্ছে। ফলে আয়-ইনকাম কমে গেছে।”

এদিকে দাবদাহে রোজাদারদের কষ্টও বেড়েছে। রোজার মাস হওয়ায় একটু স্বস্তি পেতে ঠান্ডা শরবত, পানি, আইসক্রিম খেয়ে 🐼তৃষ্ণা মেটাতেও পারছে না মানুষ। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জীববৈচিত্র্যের ওপর।

শান্তিনগরের বাসিন্দ🐭া রেহানা বেগম বলেন, “প্রচণ্ড গরম পড়েছে। বাচ্চা নিয়ে খুবই সমস্যায় আছি। ঘরের মধ্যে গরমে থাকা যায় না। আমার💃 সন্তান গত তিন দিন থেকে জ্বর-সর্দি ও কাশিতে ভুগছে। জানি না কবে বৃষ্টির দেখা মিলবে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাইয়ান কবীর ঐশীর কাছে এই গরমকে ‘আগুন’ মনে হয়েছে। ঐশী বলেন, “দিনের বেলা রুমে বসে থেকেই মনে হচ্ছিল- গরমে মাথাটা ঘুরতেছে। ফ্যানের বাতাসে কিছু হয় না। বালিশ-বিছানা সবকিছু গরম। এই গরমে রোজা রেখে প্র𒈔চুর ডিহাইড্ꦛরেশন হচ্ছে।”

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গ্রীষ্মের আগে দাবদাহ যেমꦛন বেড়েছে, তেমনই আওতাও বেড়েছে। দেশের পাঁচ বিভাগ ও এক জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলতি সপ্ত🍨াহে বৃষ্টিরও কোনো সম্ভাবনা নেই।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফ🌞ারুক বলেন, “এখন যে মৌসুম- তাতে গরম বেশি অনুভূত হবে এটা স্বাভাবিক। তবে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হওয়ার কথা। সেটা হচ্ছে না, কারণ দখিনা বাতাস নেই। কিন্তু চলতি সপ্তাহে এর কোনো সম্ভাবনাও নেই। ফলে এই বাড়তি যে তাপমাত্রা, সেটা অব্যাহত থাকবে এ🅠বং সামনে বাড়তে থাকবে।”

Link copied!