জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা ন෴ির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে সরকারের হাতে গেলে ভোটার তালিকা নিয়ে সমস্যা হবে বলে জানিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা।
ভোটার তালিকার উপজাত হিসেবে এনআইডি এসেছে উল্লেখ্য করে তারা বলেন, “নির্বাচন কমিশনের হাত ধরেই জাতীয় পরিচয়পত্র এসেছে। এটাও তাদের হাতেই থাকা উচিত।”
বুধবার (১৯ অক্টেবর) বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময়ে অ🌠ংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ন꧑ির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়ে অংশ নেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুর রউফ, কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ, কে এম নূরুল হুদা, সাবেক কমি♔শনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন, শাহ নেওয়াজ রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, সাবেক ইসি ড. মুহম্মদ সাদিক, সিরাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ, এম এ রেজা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান ও জেসমিন টুলী।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুর রউফ বলেন, “জাতীয় পরিচয়পত্রের 🍰তথ্য বিভিন্ন অফিসে থাকতে পারে। কিন্তু বেইজটা ইসির হাতে থাকবে। অন্যদের লাগলে সেটা নেবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন যেহেতু এর প্যারেন্ট, মূলটা তারাই ইনিশিয়েট করবে।”
সাবেক সিইসি কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ বলেন, “ভোটার তালিকা থেকেই এনআইডি এসেছে। এনআইডি ইসির কাছে না থাকলে লোকজন ভোটার হতে চাইবে না। এখন এনআইডির জন্যই আগ্রহ বেশি। এই অ্যাডভান❀টেজটা এখান থেকে সরানো উচিত নয়। এতে গণ্ডগোল হতে পারে। এটাকে আরও মজবুত করা উচিত।”
সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, “এনআইডি নির্বাচন কমিশনের তৈরি। এটা নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকলে সরকারের কোনো অসুবিধা হয় না। এনআইডির সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন, ভোটার তালিকার পুরোপুরি সম্পর্ক রয়েജছে। মাঝখান থেকে এটাকে নিয়ে গেলে নির্বাচন কমিশনের কাজ করতে অসুবিধা হবে।”
সাবেক কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “এনআইডি সরকার কেন নিতে চাচ্ছে সেটা পরিষ্কার নয়। এত বছরে একটি সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট করেছে। এটা যদি আলাদা হয় ভবিষ্যতে ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন আসবে। ভোটার তালিকা ঠিক ন𝕴া এনআইডি ঠিক। আপনি এনআইডির নাম পরিবর্তন করলেন বয়স পরিবর্তন করলেন তখন ভোটার লিস্টের কী হবে?”
এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আ𒐪উꦯয়াল বলেন, “এনআইডিটা এখানেই থাকা প্রয়োজন। এক বাক্যে সবাই এ কথাই বলেছেন।”
এর আগে, সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে এনআইডিᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ সেবা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র আইন সংশোধনের উদ্যো꧙গ নিয়েছে সরকার। গত ১০ অক্টোবর আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।