ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান সাবেক প্🍃রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন ছোট বোন শেখ রেহানাও।
বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দিল্লির উপকণ্ঠ🉐ে একটি আধাসামরিক বাহিনীর অতিথি নি𝐆বাস বা ‘সেফ হাউসে’ই দুই বোনকে একসঙ্গে রাখা হয়েছে।
ভারতের পর💯রাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দেশটির পার্লামেন্টে জানান, ভারত সরকারের কাছে শেখ হাসিনা ‘সাময়িকভাবে’ এ দেশে আসার অনুমোদন চেয়েছিলেন এবং তা মঞ্জুর হওয়ার পরই তিনি ভারতের মাটিতে পা রেখেছেন।
এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, কত দিন ভারতে অবস্থান করতে পারবেন শেখ হাসিনা। যদিও তার বোন শেখ রেহানার ব্রিটিশ পাসপোর্ট আছে, চাইলে তিনি ব্রিটেন যেতে পারবেন। কিন্তু শেষ হ🦩াসিনার পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, শেখ হাসিনার যে ‘ডিপ্লোমেটিক/অফিশিয়াল’ পাসপোর্ট ছিল তা এখনও বৈধ এবং সেই পাসপোর্টের সুবাদে তিনি অন্তত দেড় মাস কোনো ভিসা ছাড়াই অনায়াসে ভারতে অবস্থ🐟ান করতে পারেন। শেখ হাসিনা ভারতে গেছেন ১৫ দিন। ভারতের আইন অনুযায়ী আর ৩০ দিন দেশটিতে থাকতে পারবেন তিনি। যদি-না এর মধ্যে সেই পাসপোর্ট ‘রিভোকড’ বা প্রত্যাহৃত হয়। তাই বর﷽্তমান অবস্থান সম্পূর্ণ আইনসম্মত, ভারতের এ ক্ষেত্রে আলাদা করে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ারও প্রয়োজনও নেই।
জানা গেছে, ভারতে শেখ হাসিনার এই মুহূর্তে অবস্থানের ভিত্তিটা হলো ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘সংশোধিত ট্র্যাভেল অ্যারেঞ্জমেন্ট’। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি সরকারের মধ্যে ঢাক𓄧াতে এই সমঝোতা স🅰্বাক্ষরিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই।
ওই সমঝোতাপত্রের ১(এ) ধারাতেই উল্লেখ করা আছে, উভয় দ🧜েশের ডিপ্লোমেটিক ও অফিশিয়াল পাসপোর্টধারীদেরꦅ ৪৫ দিনের মেয়াদে ভিসা ছাড়াই বসবাসের জন্য (‘ভিসা ফ্রি রেজিম’) থাকতে দিতে দুই দেশ পারস্পরিকভাবে রাজি হয়েছে।
অর্থাৎ এই সমঝোতা অনুযায়ী বাংলাদেশের ডিপ্লোম্যাটিক/অফিশিয়াল পাসপোর্টধারীরা ভারতে ভিসা ছাড়াই ৪৫ দিন থাকতে পারবেন। আবার অন্যদিকে ভারতের ওই বিশেষ ধরনের পাসপোর্টধারীরা ব🌸াংলাদেশেও ঠিক একই সুবিধা পাবেন।
প্রসঙ্গত, রাষ্🐼ট্র বা সরকারের যে পদাধিকারীদের কূটনৈতিক বা সরকারি কোনো প্রয়োজনে বিদেশে সফর করতে হয়, তাদেরই এই ‘ডিপ্লোমেটিক’ বা ‘অফিশিয়াল’ বা ‘সার্ভিস’ পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়ে থাকে।
প্রধানমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দি♛য়ে শেখ হাসিনা যখন দেশত্যাগ করেন, তার ডিপ্লোম্যাটিক/অফিশিয়াল পাসপোর্ট কিন্তু সম্পূর্ণ বৈধ ছিল, যা এখন পর্যন্♊ত বাতিল করা হয়নি। বাংলাদেশে সদ্য দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও তা বাতিল করেছে বলে এখনো পর্যন্ত কোনো খবর নেই।
কিন্তু এই দেড় মাসের মধ্যে যদি শেখ হাসিনার বর্তমান পাসপোর্ট ‘রিভোক’ বা বাতিল করা হয়, তাহলে ভারতের কী করণীয় আছেꦛ?
দিল্লির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, “সেটাও বড় কোনো সমস্যা নয়, কারণ এই ধরনের পরিস্থিতিতে আমাদের ‘প্ল্যান বি’ বা ‘প্ল্যান সি’ প্রস্তুত রাখতেই হয়, এখানেও নিশ্চয়ই সেটা তৈরি আছে।”