মে মাসে দেশে সার্বিকভাবে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশ🔥মিক ৯৪ শতাংশ, যা গত ১১ বছর দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১২ সালের মার্চে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল♏।
সোমবার (৫ জুন) বা🧔ংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মে মাসের মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক 🍨২৪ শতাংশ।
মে মাসে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হওয়ার মানে হলো, ২𒁃০২২ সালের♔ মে মাসে একজন মানুষ যে পণ্য ১০০ টাকায় কিনত, চলতি বছরের মে মাসে একই পণ্য কিনতে তার খরচ হয়েছে ১০৯ টাকা ৯৪ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খরচ বেড়েছে ৯ টাকা ৯৪ পয়সা।
মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য সরক🐽ারের পক্ষ থেকে প্রায়ই আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করা হলেও বেশ কি🦂ছুদিন ধরে বিশ্ববাজারে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম কমছে। এর প্রভাব বাংলাদেশের বাজারে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। এদিকে আমদানিকারকেরা এর জন্য মূলত ডলার-সংকট এবং আমদানির এলসি খোলার ওপর কড়াকড়িকে দায়ী করে থাকেন।
এক বছর ধরেই মূল্যস্ফীতির হার বেশি।♉ সাড়ে ৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই শুরু হয়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানি পণ্যের দাম বাড়তে থাꦬকায় মূল্যস্ফীতি বাড়ে। আগস্টে স্থানীয় বাজারে জ্বালানি তেলের রেকর্ড দাম বাড়ানোর ফলে মূল্যস্ফীতি একলাফে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ উঠে যায়।
এরপর টানা পাঁচ মাস ধরে♔ মূল্যস্ফীতি কমে। এরপর কিছুটা বাড়ꦐে, আবার কমে আসে। গত দুই মাস টানা মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে গত ১১ মাসে মূল্যস্ফীতি কোনো মাসেই সাড়ে ৮ শতাংশের নিচে মূল্যস্ফীতি নামেনি। বিবিএসের হিসাবে, গত ১০ মাসে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
খাদ্য ও খাদ্যবহ♐ির্ভূত দুই খাতেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলে বিবিএসের হিসাবে বলা হচ্ছে। আমদানি করা পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া মূল্যস্ফীতির পারদ আরও চড়ছে।