রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান দেশে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র🦩ের ইউনিট-১-এর প্রথম ব্যাচের ইউরেনিয়াম বহনকারী রাশিয়ার একটি চার্টার্ড উড়োজাহাজ রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
গণ✨মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিম💮ানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম।
তিনি জানান, রাশিয়ার উড়োজাহাজটি পারমাণবিক বিদ্🌠যুৎকেন্দ্রের ইউরেনিয়াম নিয়ে বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্য🎶ুৎকেন্দ্র প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে এই জ্বালানি হস্তান্তর হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভার্চুয়ালি ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ব্যাচের ইউরে𓃲নিয়াম চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করতে একটি প্রটোকল সই হয়। সাইবেরিয়াতে হওয়া ওই চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে র❀ূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর ও রাশিয়ার পক্ষে এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের (এএসই) ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সি দেইরি স্বাক্ষর করেন।
পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে পদ্মা নদীর পাড🌸়ে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ প্রকল্পটি দেশের ইতিহাসে এককভাবে সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পে রাশিয়া ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দেবে এবং বাংলাদেশ সরকার দেবে ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় পরমাণু শক্তি কমিশন বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্পের জেনারেল ডিজাইনার ও কন্ট্রাক্টর রাশিয়ার𒆙 রোসাটম করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা। এ বিদ্যুৎ প্রকল্পের দুটি ইউনিটে থাকছে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর রিঅ্যাক্টর, যেগুলো সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম। প্রকল্পের নির্মাণকাজ তিন ভাগ শেষ হয়েছে। কেন্দ্রটির প্রথম ই🧸উনিট থেকে ২০২৪ সালে এবং পরের বছর দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ১২০০ মেগাওয়াট করে মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হওয়ার কথা রয়েছে।