চলতি বোরো মৌসুমে ক্ষেত থেকে ধান কেটে কৃষকের ঘরে ‘নিরাপদে’ পৌঁছে দিতে নেতাকর্মীসহ তরুণ প্র⭕জন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ছাত্রলীগ।
সোমবাꦕর (২৪ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ 𓄧সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কৃষি ও খাদ্যশস্যে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তোলার কারিগর বাংলাদেশের মানুষের আশা-ভরসার কেন্দ্রস্থল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার উন্নয়ন দর্⛎শনের বড় অংশজুড়ে রয়েছে কৃষি ও কৃষক। কৃষি উন্নয়নে তাই তিনি গ্রহণ করেছেন যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ। এ কারণেই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও চরম খাদ্য ঘাটতির মধ্যেও দেশের কৃষকের মুখে হাসি ধরে রেখে মানুষের খাদ্যের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।
কৃষি উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, কৃষি গবেষণায় বিপুল অর্থের জোগান, বিভিন্ন আবহাওয়া সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন, খরা ও লবণাক্ততা উপযুক্ত কৃষি ব্যবস্থা, উচ্চ ফলনশীল জাত প্রচলন, আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি-মৎস্য-গবাদী পশুপালন, ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের সরাসরি বিপণন ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের ক্ষতিরোধ, ন্যায্য ম🍬ূল্যে সার ও জ্বালানি তেল সরবরাহ, সেচ মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন ও স্✤বল্পমূল্যে বিদ্যুৎ বিতরণ, সড়ক উন্নয়ন ও সেতু নির্মাণের মাধ্যমে কৃষিপণ্যের বাজার সম্প্রসারণ, আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহের মাধ্যমে কৃষকের কায়িক শ্রম কমিয়ে আনা ইত্যাদি উদ্যোগের ফলে কৃষিবন্ধু শেখ হাসিনা দেশকে খাদ্যদ্রব্যে আত্মনির্ভরশীল করেছেন।
আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খনার ন্যায় দেশবাসীকে প্রতিটি বাড়িকে একটি করে খামার হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশের এক ইঞ্চি মাটিও যেন অনাবাদি না থাকে, পতিত জমিতে যেন ফসল উৎপাদন ও গবাদি পশুপালন করা হয় সে নির্দেশ প্রদান করেছেন। শুধু নির্দেশ প্রদানই নয়, তার বাসভবন গণভবনকে তিনি একটি আদর্শ কৃষি খামারে পরিণত করেছেন, পিতৃভূমি গোপালগঞ্জে পারিবারিক জমি দান করেছেন সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থায় কাজে লাগাতে। এসব আহ্বান ও উদ্যোগে সাড়া দিয়ে শহরের প্রত🍸িটি ছাদ, প্রত্যেক ব্যালকনি, গ্রামীণ বাড়িঘরে নিজ উদ্যোগে চাষাবাদ করে মানুষ পরিবারের খাদ্য যোগান দিয়ে যাচ্ছে।
বাঙালির মহান মুক্তিসংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে এদেশের কৃষক ও ছাত্রসমাজ অস্ত্রহাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশকে শত্রুমুক্ত করেছে। ভাষা, ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু থেকে দেশরত্নের যে নিরন্তর সংগ্রাম তাতে নির্ভরযোগ্য সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রেখেছে এদে🃏শের কৃষক ও ছাত্রসমাজ।
বাংলার ছাত্রসমাজের নির্ভরতার একমাত্র ঠিকানা, স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহীদের রক্তস্নাত সংগঠন বংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশের তরুণ প্রজন্ম, ছাত্র ও যুবসমাজের প্রতি উদাত্ত আহ্বা🐈ন জানাচ্ছে, চলতি বোরো মৌমুমে ক্ষেত থেকে ধান কেটে কৃষকের ঘরে নিরাপদে পৌঁছে দিতে তারা যেন নিরবিচ্ছিন্ন, নিরলস ভূমিকা পালন করে। অতীতের ন্যায় এ বছরও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ধান কেটে কৃষকের কাছের বন্ধুতে পরিণত হবে, এটিই সংকল্প।