জানুয়ারির ২১ তಞারিখ ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) মেলার ২১তম দিন। এ পর্যন্ত মেলায় ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। যার অধিকাংশই খাবার সংক্রা🍎ন্ত বলে সংবাদ প্রকাশকে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও ৫টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিদপ্তর বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভোক্তারা।
♍সূত্র বলছে, খাবারের মান, দাম বেশি রাখাসহ আরও কিছু অনিয়মে বেশ কয়েকটি খাবারের প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর।
এরপরও কোনো কোনো স্টলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার বিক্রি হচ্ছে। খাবার সরবরাহের পাশাপাশি দাম বেশি রাখার অভিযোগ নিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর জরিমানা করলেও খুব বেশি সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা🉐।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেলা🐷র দায়িত্বে থাকা ভোক্তা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমরꦦা ফিল্ড ভিজিটে গিয়ে দাম বেশি রাখলে প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করছি। পরবর্তীতে নির্দেশনা নিয়ে আসছি দাম বেশি রাখলে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি এখন (১০ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত পাঁচজন ভোক্তা আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। ভোক্তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সেই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের দুইটিকে জরিমানা করেছি, আর তিনটির সাথে ভোক্তার সমঝোতা করে দিয়েছি।”
ꦺএই কর্মকর্তা আর বলেন, “আসলে এখানে অতি মুনাফার আশায় খাবারের প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছে। হাজী বিরিয়ানির মতো বড় প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তার পক্ষ থেকে জরিমানা করা হয়েছে। এত বড় প্রতিষ্ঠান যদি অনিয়মের মধ্যে চলে তাহলে ছোট প্রতিষ্ঠান তো সুযোগ নেবেই। এখানে যদি ভোক্তাদের কথা বিবেচনা করা হতো তাহলে জরিমানা নয়, ভোক্তারা উপকৃত হতো।”
দেখা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকে খাবারের স্টলগুলো। বসার স্থান না পেয়ে অনেকেই দাঁড়িয়ে সেরে নেন খাওয়ার কাজ। এবারের মেলায় ফুড বাংলো, সুলতান কাচ্চি, লাইবা রেস্টুরেন্ট, পুরান ঢাকার শাহি বিরিয়ানি, হাজির বিরিয়ানি, পুরান ঢাকার꧂ চিংড়ি ঝালফ্রাই, কস্তুরি কাবাবসহ বেশকিছু খাবারের স্টল রয়েছে। মেলায় বিভিন্ন খাবারের মধ্যে কাবাব, চিকেন মাসালা, বিরিয়ানি, হাঁসের মাংস, কাচ্চি, রাজাবাবুর চা ও তান্দুরি চায়ের চাহিদা বেশি। এছাড়া চিকেন বিরিয়ানি, চিকেন শাসলিক, ফালুদা, বিফ কাচ্চি, মাংস, সবজি, বডি কাবাব, মাটন হালিম, ফ্রাইড চিকেন, লাচ্ছি, নুডুলস, চিকেন চাপ, মাছ, কফি, মাটন কাচ্চি, জুস, ফুসকা, চিকেন গ্রিল, ডাল-পরাটা, ভাত, পানীয়, চটপটি, কাবাব ও খিচুড়ি থেকে শুরু করে থাই স্যুপের বেশি চাহিদা রয়েছে। তবে লুচি আর চিকেন চাপের চাহিদা বেশি। অনেকেই মাটির পাত্রে স্পেশাল চা, রাজাবাবুর চা ও তান্দুরি চা খেতে স্টলগুলোতে ভিড় জমান।
মেলার বাইরের তুলনায় ভেতরের খাবারের দাম ডাবল রাখা হয় বলে অভিযোগ দর্শনার্থꦅীদের। তাদের ভাষ্য, বাইরে একটি বার্গার যদি ৭০ টাকায় পাওয়া যায়, ভেতরে সে একই বার্গারের দাম দ্বিগুণ।
রাজধানীর উত্তরা থেকে আসা ঐশী নামের দর্শনার্থী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “হাজির বিরিয়ানি সবচেয়ে দাম বেশি রাখছে। এক প্লেট বিরিয়ানি ব💃াইরে খেতে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে, মেলার ভেতরে সে একই প্লেট বিরিয়ানি খেতে তার চেয়ে দ্বিগুণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে “
খাবারের মান, মূল্যতালিকা প্রদর্শন, দাম বেশি রাখা নিয়ে বেশ কয়েকটি খাবারের প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন এ প্রতিবেদক। কেউই এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে হাজি বিরিয়ানির রেস্টুরেন্টের এক বিক্রয়কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “বাণিজ্য মেলায় সবাই লাভ করতে আসে, লস ⭕করতে তো না। যদি লসের কথা বিবেচনা করে ব্যবসা পরিচালনা করে তাহলে তো আর মেলায় দোকান খুলে বসে থাকতো না। মেলায় সরকারের ভ্যাট দিতে হয়, দোকান বিল দিতে হয়, কর্মীদের বিল♕ দিতে হয়। নানা খরচ আছে এখানে।”
তিনি আরও বলেন, “খাবার মানসম্মত আছে বলে আমরা মনে করি। কারণ হাজির বিরিয়ানির𒉰 বেস্ট বিরিয়ানি। এখানে মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার সু𒐪যোগ নেই।”