• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


সন্তানকে বুকে জড়িয়ে আগুনে পুড়ে মারা যান পপি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩, ১২:৪৬ পিএম
সন্তানকে বুকে জড়িয়ে আগুনে পুড়ে মারা যান পপি
নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) ও তার শিশু সন্তান ইয়াসিন। ছবি: সংগৃহীত

মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ওঠেন নাদিরা আক্তার পপি। সঙ্গে ছিল তার বড় ছেলে, ভাই, স্বজনসহ ৯ জন। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে নেত্রকোন﷽া সদরের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন তারা।

বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যান স্বজনদের পাঁচজন। এরপর ট্রেন চলতে শুরু করলে হঠাৎ ধোঁয়ায় ভরে যায় কামরা। ‘আগুন আগুন’ বলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়। তেজগাঁও স্টেশনে ট্🌠রেন থামতে সবাই হুড়োহুড়ি করে নেমে যান। শুধু পপি ও তার তিন বছরের ছেলে ইয়াসিন নামতে পারেনি। আগুনে পুড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাদের।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

পপির দেবর প্রকৌশলী মিনহাজুর রহমান বলেন, “ভাবির কো🍌লে ছিল ছোট্ট ইয়াসিন। বাচ্চা নিয়ে উনি আর নামতে পারেননি। আগুন নেভানোর পর ওনার লাশ উদ্ধার করা হয়। তখনো তার কোলে ছিল সন্তানের মৃতদেহ। দুজন একসঙ্গে পুড়ে মারা গেছেন।”

মিনহাজুর জানান, তার ভাই মিজানুর রহমান কারওয়ান🗹 বাজারে হার্ডওয়্যার সামগ্রীর ব্যবসা করেন। দোকানের নাম ‘রহমান এন্টারপ্রাইজ’। তিনি রাজধানীর তেজতুরী বাজার এলাকায় থাকেন। তার সঙ্গেই থাকতেন𝓰 পপি ও তাদের দুই সন্তান। 

সোমবার গ্রামের বাড়ি থেকে অন্য স্বজনের সঙ্গে তারা ফির🦩ছিলেন। তারা সবাই ছিলেন ‘জ’ কোচের যাত্রী। তাদের মধ্যে পপির বড় ছেলে মাহিন (৯) ও ভাই হাবিব ট্রেন থেকে নামতে পেরেছেন। পরে তারা দেখেন পপি ও ইয়াসিন নেই। ততক্ষণে ট্রেনের ওই কোচটিতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। ফলে কিছুই করার ছিল না। ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর পর চারজনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। চারজনের মধ্যে পপি ও তার শিশুসন্তান ইয়াসিনও পুড়ে মারা যান।

মিনহাজুর বলেন,“লাশ দেখে বোঝা যায়, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সন্তানকে বুকে আগলে বাঁচানোর চেষ্টা করেন ভাবি। তবে অনেক লোকের হুড়োহুড়ির মধ্যে পারেননি। সন্তানকে বুকে নিয়েই জ👍ীবন্ত পুড়ে মারা যান।”

ফায়ার স🐠ার্ভিস সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, “আজ ভোর ৫টা ৪ মিনিটে আমাদের কাছে সংবাদ আসে তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ♊৩টি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। আমাদের ৩টি ইউনিট সকাল পৌনে ৭টার দিকে আগুন নির্বাপণ করে। একটি বগি থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন যাত্রীদের বরাত দিয়ে জানান, ট্রেনটি নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় আসছিল। বিমানবন্দর স🅷্টেশন পার হয়ে ট্রেন খিলক্ষেতে আসলে যাত্রীরা বগিগুলোতে আগুন দেখতে পান। তারা চিৎকার করতে শুরু করেন। এরপর চালক ট্রেনটি তেজগাঁও স্টেশনে থামান।

গত ১৩ ডিসেম্বর ভোরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রহল্লাদপুর ইউনিয়নের বনখড়িয়ার চিলাই ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। দুরꩲ্বৃত্তরা রেললাইন কেটে ফেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দুর্ঘটনায় এক যাত্রী নিহত এবং ট্রেনের লোকোমাস্টার ও সহকারী লোকোমাস্টারসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়।

Link copied!