প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকারের জন্য আজীবন লড়াই করা লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী হেলেন অ্যাডামস কেলারের আজ ১৪২তম জন্মদিন। ১৮৮০ সালের ২৭ জুন এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবার নাম ♔আর্থার কেলার এবং মায়ের নাম কেইট অ্যাডামস।
মাত্র ১৯ মাস বয়সেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে চিরদিনের জন্য কথা বলা, শোনা এবং দেখার শক্তি হারি🐭য়ে ফেলেন হেলেন। বাক, শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধিকতা নিয়েই মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি। পরে ডক্টরেট ডিগ্রিও অর্জন করেন গুনী এই লেখক।
অ্যানি সুলিভান নামের এক গৃহশিক্ষিকা হেলেনের আট বছর বয়স থেকে পড়াশোনার দায়িত্ব নেন। পরবর্তী ৪৯ বছর শিক্ষাদীক্ষা এই শিক্ষাগুরু হেলেনের সঙ্গ দেন। অ্যানি নিজেও একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছিলেন। ব্রেইল পদ্ধতিতে পড়াশোনা করতেন এবং পরে নরওয়েত♏ে উদ্ভাবিত এক পদ্ধতি অনুসরণ করে কথা বলা শেখেন হেলেন। ১৯০০ সালে হেলেন কলেজে ভর্তি হন।
১৯০৪ সালে হ🅠েলেন প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হিসেবে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। বাক-শ্রবণ ও 🔯দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও গণমানুষের সহায়তা অর্জনে সচেষ্ট ছিলেন হেলেন। প্রতিবন্ধী শিশুদের সহায়তা ও মানবতায় অবদানের জন্য ১৯৫৯ সালে হেলেন কেলার জাতিসংঘ কর্তৃক বিশেষ সম্মানে ভূষিত হন।
হেলেনের রচিত বইয়ের সংখ্যা ১২টি। তারমধ্যে প্রধান বই হচ্ছে দি স্টোরি অফ মাই লাইফ (১৯০৩), লেট আস হ্যাভ ফেইথ, দি ওয়ার্ল্ড আই লিভ ইন (১৯০৮), ওপেন ডোর ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অভিশপ্ত বিড়ম্বনা জীবনের বিষাদের ওপর একটি চলচ্চিত্😼র নির্মাণ করেন। চলচ্চিত্রে তার নিজের ভূমিকায় তিনি নিজেই অভিꦅনয় করেছেন।
হেলেন রাজনৈতিক লেখালেখির পাশাপাশি ছিলেন ‘আমেরিকান সোশ্যালিস্ট পার্টির’ সমর্থক ছিলেন। ১৯১২ সালে তিনি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড’-এ যোগ দেন। ১৯৬৮ সালের ১ জুন হেলেন কেলার পরোলোকগমন করেন। তার স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য এবং তার অসামান্য কৃতিত্বের জন্য ১৯৭৭ সালে ‘আমেরিকান এসোসিয়েশন ফর দি ওভারসীজ ব্লাইন্ড’ যার বর্তমান নাম হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল গঠন করা হয়েছে।