• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


কেন পিছিয়ে গেল পয়লা ফাল্গুন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৪:৪৩ পিএম
কেন পিছিয়ে গেল পয়লা ফাল্গুন

আকাশে, বাতাসে বইছে ফাল্গুনের বার্তা। শীতের শেষে দরজায় কড়া নাড়ছে পয়লা ফাল্গুন। বছরখানেক আগে বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পয়লা ফাল্গুন পালিত হতো ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ১৩ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু বাংলা ক্যালেন্ডার বদলে যাওয়ায় এখন ফাল্ไগুনের পয়লা তারিখ পড়ছে ১৪ ফেব্রুয়ারি। সেই সুবাদে দেশগুলো বাঙালিরা পয়লা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবস পালন করছে একই দিনে। কিন্তু কেন এমনটা হলো জানেন কি? কেন পয়লা ফাল্গুন পিছিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি নেওয়া হলো♍? চলুন জেনে আসি এর পেছনের কারণ কী ছিল।

২০২০ সাল থেকে পয়লা ফাল্গুন একদিন পিছিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে। কারণ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক দিবসগুলোকে সমন্বয় করতে বাংলা ক𝓰্যালেন্ডারে পরিবর্তন করা হয়েছে।

নতুন বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, বাংলা বছরের প্রথম ছয় মাস হয় ৩১ দিনে। শেষ ভাগের বাকি ৫ মা♍স হয়েছে ৩০ দিনের। আর ফাল্গুন ম🍒াসকে করা হয়েছে ২৯ দিনের। এর আগে বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র এই পাঁচ মাস ৩১ দিন গণনা করা হতো।

বাংলা একাডেমির গবেষণা, সংকলন এবং অভিধান ও বিশ্বকোষ বিভাগ নতুন এই বর্ষপঞ্জি তৈরি করেছেন। সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা যায়, আগে  ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ছিল ৮ ফাল্গুন। কিন্তু বছর ঘুরে অধিকাংশ সময়ই তা ৯ ফাল্গুনে পড়ে যেত। আবার বাংলাদেশের বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের ওই দিনটি ছিল পয়লা পৌষ। কিন্তু বাংলা পঞ্জিকায় বছর ঘুরে  দিনটি পড়ত দোসরা পৌষ। যা নিয়ে বিপত্তি দেখা দিত। এখন বাংলা বর্ষপঞ্জি💙 পরিবর্তনের ফলে প্রতিবছর ইংরেজি বর্ষপঞ্জির সঙ্গে মিল রেখে বিশেষ দিনগুলো পালি𝐆ত হচ্ছে। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চের মতো গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবসগুলো এখন বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একই দিনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এর আগে ১৯৫২ সালে ভারতে বাংলা বর্ষপঞ্জি সংস্কারের কাজ প্রথম শুরু হয়। স্বনামধন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহাকে প্রধান করে পঞ্জিকা সংস্কার কমিটি হয়। পরে ২০১৫ সালে নতুন করে পরিবর্তন আনার জন্য বাংলা একাডেমি সংস্থাটির তৎকালীন মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন হয়। এরপর দ্বিতীয়বারের মতো বাংলা বর্ষপঞ্জি সংস্কার করা হয়। তবে বাংলা ক্যালেন্ডারের এই পরিবর্তন শুধু বাংলাদেশের জন্যই। পশ্চিমবঙ্গে বাংলা বর্ষপঞ্জি আগে✤র মতোই রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

Link copied!