শিশু জন্মের ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খেতে বলা হয়ে থাকে। ৬ মাস পর ধীরে ধীরে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে পরিচিত করাতে হয়। আর তখনই হয় সমস্যা। কারণ অনেক শিশু আছে যারা খেতে চায় না। খাওয়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় না। তখন বাবা-মায়েরা তাদের বকাঝকা করে। জোর করে খাওয়াতে চায়। কিন্তু বক𝓀াঝকা ও জোর করে খাওয়ানোর ফলাফল ভালো হয় না। শিশুদের তখন খাবারের প্রতি ভীতি বাড়ে। তাই জোরাজুরি করে খাওয়াতে যাওয়া ঠিক না।ꦑ কিন্তু খাওতে তো হবে। সেক্ষেত্রে করণীয় কী-
- আপনার শিশু যদি একসঙ্গে বেশি খাবার খেতে না চায় তাহলে তাকে অল্প অল্প করে খাবার দিন। হয়ত দিনের একসময় তাকে একটু ভাত সঙ্গে একটু ডাল বা সবজি দিন। আরেকবার হয়ত একটু মাছ দিতে পারেন ভাতের সঙ্গে। একটু চিকেন স্টু ও দিতে পারেন মাঝে মধ্যে। এভাবে অল্প অল্প করে কিছুক্ষণ পর পর খাবার দিন।
- শিশুকে খাওয়াতে আপনাকে অবশ্যই কৌশলী হতে হবে। আপনার শিশু যদি মাছ খেতে না চায় তাহলে শিশুকে সরাসরি মাছ না দিয়ে অন্য কিছু করে দিন। যেমন মাছের চাপ, কাটলেট এধরণের আইটেম বানিয়ে দিতে পারেন।
- শিশুর মধ্যে ক্ষুধা তৈরি হওয়ার সময় দিতে হবে। ক্ষুধা লাগলে সে নিজেই খেতে চাইবে। তখন তাকে খেতে দিন।
- শিশু কোন খাবারে অনিহা দেখালে সে খাবার কেয়েকদিন গ্যাপ দিয়ে তারপর দিন। প্রতিদিন একই খাবার দেবেন না। ধরুন, এক দিন বাড়িতে চাল-ডাল-আলু দিয়ে হালকা করে তৈরি খিচুড়ি সামান্য ঘি বা মাখন দিয়ে খাওয়ালেন। পরদিন আবার চারা মাছের ঝোল দিয়ে ভাত দিলেন। খাবারে ভিন্নতা পেলে সে আর খাবারের অনিহা দেখাবে না।
- কখনও কখনও আপনার বাচ্চার জন্য রান্না করতে গেলে তাকেও সঙ্গে রাখুন। রান্নার উপকরণ তাকে দেখান। তাতে সে সেই খাবার খেতে আগ্রহী হবে।
- শিশুকে সবার সঙ্গে টেবিলে খেতে দিন। একই টেবিলে বসে সবার সঙ্গে খেলে তারও খাওয়ার ইচ্ছা তৈরি হবে। সব সময়ে আলাদা রান্না করবেন না। বরং আপনারাও হালকা রান্না খাওয়াই অভ্যাস করে দিন। একই রকম খাবার খেলে, শিশুর আর খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি হবে না।