একটি দাম্পত্য সম্পর্ক সুখের হয়ে উঠতে পারে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের চেষ্টায়। একক চেষ্টায় কোন কিছুই সম্ভব না। তবে সবসময় তো সম্পর্ক একই স্রোতে চলে না। সম্পর্কে উঠানামা থাকেই। সবসময় যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মধুর সম্পর্ক থাকবে বিষয়টা এমন না, সম্ভবও না। মান-অভিমান ঝগড়া তো থাকবেই দুজনের মধ্যে। কারণ দুইটা ভিন্ন মানুষ মিলেই স্বামী-স্ত্রী। ফলে ভিন্ন ভিন্ন মানুষের মত ভিন্ন ভিন্ন হবে এটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে মতের অমিল হবে, কথা কাটাকাটি হবে, ঝগড়া হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে কি একজন আরেক𒁏জনের দোষ অন্যের কাছে বলে বেড়াবেন? কিংবা তৃতীয় ব্যক্তির সামনেই ঝগড়া শুরু করে দিবেন?
তৃতীয় ব্যক্তির সামনে কখনো ঝগড়া করবেন না। এমনকি নিজেদের ব্যক্তিগত সমস্যা তুলে ধরবেন না। তৃতীয় ব্যক্তির সামনে একে অন্যকে দোষারোপ করলে কিংবা একে অপরকে ছোক করে কথা বললে সেখানে তৃতীয় ব্যক্তি ঢুকে পড়বে। এটা করা যাবে না। তৃতীয় ব্যক্তি হোক সে আপনার নিজের মা–বাবা বা সন্তান—কারও সামনে নয়। বাইরের কেউ তো নয়ই। কারণ যদি আপনাদের সম্পর্কে বাইরের কেউ কথা বলার সুযোগ পায় সেক্ষেত্রে সেটা আপনাদের নাগালের বাইরে চলে যাবে। সম্পর্ক ‘ইমেজ সংকট’–এ পড়বে। অন্যরা আপনাদের দাম্পত্য নিয়ে কথা বলার সুযোগ পেয়ে যাবে এবং যেকোন 🧔বিষয়ে ঢুকে পড়বে। এতে সম্পর্ক খারাপ দিকে যেতে পারে। অন্যের সামনে ঝগড়া করলেন অন্যরা বিষয়টি জানলো তাতে তৃতীয় ব্যক্তি এসে সমাধান করতে পারবে না। বরং সমস্যা বড় হবে। অনেক ক্ষেত্রেই আপনাদের সম্পর্ক অন্যরা জাজ করার অধিকার পেয়ে যাবে। ফলে দুজন দুজনের সম্পর্ক রক্ষায় তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ একদম নিষেধ। আর এ বিষয়টি মানা জরুরি।
সম্পর্কে যেহেতু সমস্যা থাকবেই তাই নিজেদের সমস্যা নিজেরা খোলামেলা আলোচনা করুন। অন্যের সামনে না, বন্ধ ঘরে নিজেদের যে বিষয়ে মিলছেনা সেটা নিয়ে কথা বলুন। প্রয়োজনে কাউকে না কাউকে কিছুটা ছাড় দিতে হবে। নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে যেটা ঠিক সেটা বের করুন। তাতেই সমস্যার সমাধান আসবে। তৃতীয় ব্যক্তি সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।🎐 তাই তৃতীয় ব্যক্তি এড়িয়ে চলুন।