চকলেট পছন্দ করেন না এমন মানুষের সংখ্যা কমই বলা যায়। প্রথম দেখায় প্রেমের🎐 অনুভূতি যেমন, প্রথম কামড়ে মুখের ভেতর চকলেটের অনুভূতিও অনেকটা তা-ই। ছোট থেকে বড় যেকোনো বয়সের মানুষের পছন্দের খাবারের তালিকায় থাকতে পারে চকলেট। কোনো কারণে মন-মেজাজ খারাপ 🉐থাকলে একটুখানি চকলেট হতে পারে মন ভালো করার দাওয়াই।
চকলেটের ইতিহাস
চকলেটের ইতিহাস প্রায় আড়াই হাজার বছরের পুরোনো। চকলেট প্রথম কোকো গাছের ফল থেকে তৈরি হয়। দুই হাজার বছরেরও꧙ বেশি আগে আমেরিকার রেইনফরেস্টে প্রথম চকলেট তৈরি হয় বলে কথিত আছে। একটা সময় পর্যন্ত চকলেট শুধুমাত্র মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকায় তৈরি করা খাবার ছিল। পরবর্তীতে ১৫ শতকে মেক্সিকোর পাশাপাশি স্পেনেও তৈরি শুরু হয়।
প্রথম দিকে চকলেট কিছুটা তিতা এবং কড়া স্বাদের ছিল। তখন মধু, ভ্যানিলা, চিনি, দারুচিনিসহ বেশ কিছু উপাদান দিয়ে কোল💜্ড কফি তৈরি করা হতো। পেশায় চিকিৎসক স্যার হ্যান্স স্লোন চকলেট থেকে এক বিশেষ পানীয় তৈরি করেন। ধীরে ধীরে গোটা দুনিয়ায় জনপ্রিয় হতে শুরু করে চকলেট এবং এ থেকে তৈরি নানা খাবার ও পানীয়।
যেভাবে এল চকলেট দিবস
চকলেটের জনপ্রিয়তার কারণে বিশ্বের অনেক দেশে ৭ জুলাই প🍒ালন করা হয় চকলেট দিবস। কাউকে উপহার দেওয়া, মেজাজ ভালো করা কিংবা মুখের মিষ্টি স্বাদ আনতে চকলেটের জুড়ি মেলা ভার। চকলেট দিবস প্রথমে ইউরোপে পালিত হয়। এরপর এটি বিশ্বের অনেক দেশে পালিত হতে শুরু করে। স্বাদ পরিবর্তনের পর চকলেট সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সেই সূত্র ধরে উনবিংশ এবং বিংশ শতকে অনেক বড় চকোলেট কোম্পানি শুরু হয়। ১৮৬০ সালে শুরু হওয়া নেসলে বিশ্বের বৃহত্তম ꧋চকলেট ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে একটি হয়ে ওঠে। এ ছাড়া ক্যাডবেরি ও হার্ষে বর্তমানে বিখ্যাত চকলেট প্রস্তুতকারকদের মধ্যে অন্যতম।
আজ চকলেট দিবসে খেতে পারেন পছন্দের ব্র্যান্ডের চকলেট কিংবা এর তৈরি কোনো খাবার ও পানীয়। এ ছাড়া প্রিয়জ🌟নকে চকলেট উপহার দিয়ে চমকে দিতে পারেন।
তথ্যসূত্র: ডেজ অব দ্য ইয়ার, হিন্দুস্তান টাইমস