বর্ষাকাল তো শুরু হয়ে গেছেই। মাঝে মাঝে দুই-এক পশলা বৃষ্টি এসে মনে করিয়ে দিচ্ছে সেকথা। কোথাও কোথাও সারা দিন বৃষ্টি। এমন দিনে অনেকে বাইরে বের হতে পারেন না। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় রান্নাঘর জুড়ে ভ্যাপসা গন্ধ ছড়াতে থাকে। আবার এসময় কোনো ভাবে রান্না ঘরে༺ পানি ঢুকলো রান্না ঘরের জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যায়। তাই এসময় রান্নাঘরে কিছু কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার।
- ঘরের ডাস্টবিন ব্যবহারের আগে ও পরে অ্যান্টিসেপটিক ক্লিনার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- রান্নাঘরের ডাস্টবিন আলাদা করে ফেলুন। শুকনো ও তরল আবর্জনার জন্য দু’রকম ডাস্টবিন ব্যবহার করুন। যে সব জিনিস পচনশীল, তাদের রান্নাঘরের ডাস্টবিনে ফেলবেন না। সে সব নিয়মিত বাইরের কোনও ডাস্টবিনে ফেলুন। ঘরের ডাস্টবিন ব্যবহারের আগে ও পরে অ্যান্টিসেপটিক ক্লিনার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন তা। সব চেয়ে ভাল হয়, যদি বিনের ভিতর গার্বেজ ব্যাগ রেখে তা ব্যবহার করতে পারেন।
- উচ্চ তাপে রান্না করলে রান্নাঘর তেলতেলে হয়ে তাই রান্নাঘরের তেলতেলে ভাব দূর করতে এক্সজস্ট ফ্যান এবং চিমনি ব্যবহার করুন। আর বর্ষাকালের আগে এই যন্ত্রপাতিগুলোকে পরিষ্কার করুন যাতে এটি আরও ভালোভাবে কাজ করে।
- বর্ষায় লবণের কৌটোয় রাখতে পারেন কয়েকটি লবঙ্গ কিংবা কিছুটা শুকনো চাল। চাল আর্দ্রতা শোষণ করে নেয়। যে কোনও ধরনের চালেই কাজ হয়। তবে একটু লম্বা ধরনের চাল হলে সবচেয়ে ভালো।
- বায়ুমণ্ডলের অতিরিক্ত আর্দ্রতা আপনার লবণ এবং চিনির বয়ামে প্রভাব ফেলতে পারে। এ কারণে মসলাগুলোকে আর্দ্রতা এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত রাখতে এয়ার টাইট কাঁচের বয়াম ব্যবহার করুন।
- এসময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতও হয় তাই ওভেন, ব্লেন্ডার, মিক্সার প্রভৃতি কোনো সরঞ্জামই সব সময় চালু রাখবেন না। ব্যবহার শেষে সুইচ বন্ধ করে প্লাগ খুলে রাখুন। সব বৈদ্যুতিক যন্ত্রই গ্যাসের চুলা থেকে দূরে সেট করা উচিত।
- রান্নাঘর এবং তার আশপাশের লুকানো জায়গাগুলোতে, বিশেষ করে সিঙ্কের পাইপ এবং ড্রেনে যেন কোনো পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। কারণ এসব স্থান থেকে মশা এবং মাছি এসে রান্নাঘরসহ পুরো ঘর ছড়িয়ে পড়ে ও খাবারকে দূষিত করে। সুতরাং, বর্ষাকাল পুরোপুরি শুরু হওয়ার আগে এটি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন এবং নিজেকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন।