মৃত মানুষের দেহ পুড়ানোর পর ছাই থেকে পাওয়া সোনা, প্যালাডিয়াম এবং হাড়ে প্রতিস্থাপিত টাইটানিয়ামের মতো দামি ধাতু সংগ্রহ করে জাপানে আয় হচ্ছে ꦗকয়েকশো কোটি টাকা। সম্প্রতি প্রকাশিত নিক্কেই এশিয়া নামের একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জাপানের ৪২টি শহরের দেহ সৎকারের স্থানগুলিতে মৃতদেহ থেকে পাওয়া বহুমূল্য ধাতু বিক্রি করে মিলছꦐে প্রায় ৩৭৭ কোটি টাকা। মৃত মানুষের দাঁত থেকে পাওয়া সোনা, প্যালাডিয়াম এবং হাড়ে প্রতিস্থাপিত টাইটানিয়ামের মতো দামি ধাতু সংগ্রহ করা হয় অস্থিভস্ম থেকে। সেই ধাতু আলাদা করে নির্দিষ্ট জায়🙈গায় বিক্রি করা হয়।
২০১২ সালের হিসাব বলছে জাপানেই মৃতদেহ পোড়ানোর 🐽হার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। জাপানে ৯৯ শতাংশ মৃতদেহ শ্মশানে🦋 পোড়ানো হয়ে থাকে।
জাপানি প্রথা অনুযায়ী, শরীর দাহ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে পরিবারের সদস্যেরা অপেক্ষা করেন। দাহ সম্পন্ন হলে এবং ছাই ঠান্ডা 🌠হয়ে গেলে পরিবারের সদস্যেরা চপস্টিক ব্যবহার করে হাড়ের টুকরোগুলি আলাদা করেন। সেগুলি তুলে একটি বড়🌌 পাত্রে জমা করেন।
এই কাজ শেষ হলে অস্থিভস্ম থেকে ধাতু সংগ্রহ করা হয়। সেগুলি বাছাই করে তা বিক্রি করে জনগণের হিতার্থে শ্মশানের তহবিলে দান করা হয়💞 বলে দাবি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
মৃতের শরীরে এধরণের মূল্যবান ধাতু কীভাবে আসে
নানা দুর্ঘটনায় শরীরের হাড় ভেঙে গেলে বা হাড়ের অ▨সুখজনিত সমস্যার কারণে তা প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন হয়৷ সেই হাড় প্রতিস্থাপন করতে ইস্পাত বা টাইটানিয়াম ব্যবহার করা হয় যা মৃত্যুর পরেও আমাদের শরীরে থেকে যায়।
টাইটানিয়াম প্রায়শই হাড় প্রতিস্থাপন করতে ব্যবহার করা হয় কারণ এটি খুব শক্তিশালী এবং টেকসই। মানবশরীরে এই ধাতুর বিষক্রিয়া নেই। আবার অনেকে দাঁত পড়ে গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সোনা, রুপো এমনকি প্য🔴ালাডিয়ামের মতো দামি ধাতু দিয়ে বাঁধিয়ে রাখেন। সেস🔯ব মারা গেলেও শরীরে থেকে যায়। সেগুলোই শ্মশান থেকে সংগ্রহ করে বিক্রি করা হয়।