কথা দিয়ে নাকি রাজ্য জয় করা যায়। আবার কথা দিয়েই মানুষকে আঘাত করা যায় সহ꧑জেই। কথার জালে পেঁচিয়ে ফেলে মানুষকে অসহায় করার ঘটনাও কম ঘটে না। কিছু মানুষ রয়েছে যারা অন্যকে কথা দিয়ে আঘাত করতে পছন্দ করেন। আবার অনেকে অজান্তেই কিছু বলে দেয় যা অন্যকে কষ্ট দেয়। কিন্তু অন্যের কটু কথার রেশ ধরে নিজে কষ্ট পেলে তো হবে না। বরং এর জন্যে নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে।
প্রতিদিন আপনজন, আত্🦂মীয়স্বজনসহ কতজনেরই কত কথা শুনতে হয়। কথার আঘাতে জর্জরিত হতে হয়। অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়ে জীবনে বড়সড় ভুল সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেন অনেকে। তাই অন্যের কটু কথা থেকে বাঁচার উপায় জেনে নিন।
প্রথমেই মানসিকভাব🦄ে শক্তিশালী হোন। নিজের জীবন সম্পর্কে, নিজের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পরিচ্ছন্ন করুন। আপনার সুখ আ๊পনাকেই ঠিক করতে হবে। পরিস্থিতি যেটাই হোক নিজেকে সামলে নিন। আপনি শক্তিশালী থাকলে অন্যের কথায় কষ্ট পাবেন না।
কারো কথা গায়ে মাখব🌸েন না। কত মানুষ কত কথাই বলবে। সব কথায় গু𝓡রুত্ব না দেওয়াই ভালো। উপদেশ দেওয়ার মানুষের অভাব তো হয় না। কিন্তু মানুষের কথার চাপে পড়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। তাই কারও কথাকে পাত্তা দেবেন না। নিজের সিদ্ধান্তেই নিজে চলুন।
কারো 🧸কথা বা উপদেশ বিরক্ত মনে হলে তা এড়িয়ে যান। সুযোগ বুঝে সেই স্থান ত্যাগ করুন। নিজে কোনো কথার উত্তর দিতে যাবেন না। এতে পরিস্থিতি বা সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। তাই তাকে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
অধিকাংশ মানুষেরই জীবন সমস্যাপূর্ণ হয়। তাই তারা অন্যের জীবনে হস্তক্ষেপ করতে পছন্দ করে। নিজের জীবনের হতাশা থাকে বলে অন্যের দুর্বলতা নি🎶য়ে কথা বলতে থাকে। তাই কারো কথা গায়ে না মেখে আগে দেখুন তার সেই কথা বলার পেছনে কী কারণ রয়েছে। হয়তো তার কটু কথার পেছনে রয়েছে হতাশা, মানসিক চাপ বা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। তাই তার কথায় নিজের মনকে ছোট করবেন না।
অন্যের কটু কথায় মন খারাপ হতে পারে। কিন্তু সেই মানুষ হয়তো না বুঝেই বা ইচ্ছে করেই বলেছে। যাই বলুন, বা যাই হোক তাকে ক্ষমা করে দিন। তার কথাকে ঘুরিয়ে দিন। তাকে ধন্যবাদ দিয়ে নিজের কাজ করুন। কারো নেতিবাচক কথা মনে রাখলে নিজে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাবেন। তাই নেতিবাচক কথা মনে না রেখে বরং ক্ষমা করে দিন। ꦦঅন্যের কথার জন্য় নিজের ভেতরে খারাপ লাগা জমতে না দিয়ে তা ভুলে যান।
কারো কথায় একব💟ার খারাপ লেগেছে। তা থেকে শিক্ষা নিন। নিজের সঙ্গে শপথ করে নিন। যেন ওই ব্যক্তির কথা আর গায়ে মাখবেন না। কিংবা আপনিও কাউকে এই ধরণের কথা বলবেন না। নিজের জীবন থেকে যা শিখবেন তা মনে রেখেই সামনে এ🐈গিয়ে চলুন।
অন্যের কটু কথায় আঘাত না পেয়ে বরং মজা করে জবাব দিয়ে দিন। যেন ওই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার বিষয়টি নিয়ে আর কথা না বলে। সরাসরি এমন কথা বলবেন না যা ঝগড়া বেধে যাবে। বুদ্ধি খাটিয়ে মজার কোনো উত্তর দিন🥂। যেন বিষয়টি সে এড়িয়ে যায়।
কটু কথার জবাব ভদ্রভাবেও দিতে পারেন। সে অভদ্র কথা বললে আপনি কেন তেমনটাই করবেন। বরং তাকে বলুন, নিজের জীবনের সমস্যাগুলো মিটিয়ে নিতে। তাহলে জীবনে হতাশা কেটে যাবে। আর অন্যের জীবন নিয়ে কৌতুহল জাগবে না। দেখবেন, পরবর্তী সময়ে সে আপনাকে কিছু বলার আগে ভেবে চিন্তেই বলবে🎐ন।
সূত্র: রিডারস ডাইজেস্ট