তেল বা চর্বি খাদ্যের ছয়টি উপাদানের একটি উপাদান। আমাদের দেহে তেলের প্রয়োজনীয়তা যেমন রয়েছে তেমনি অতিরিক্ত তেল বা চর্বি আমাদের দেহের জন্য খারাপ। যত বেশি তেল-মশলাযুক্ত খাবার খাবেন, তত বেশি নানান সমস্যা বাড়বেই। তাই অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার থেকে𒈔 যত দূরে থাকা যায় ততই ভালো। কিন্তু কেউ কেউ বলেন রান্না করতে গেলে কম তেলে রান্না করা মুশকিল, রান্নার স্বাদ হয় না। যারা এই ধরণের কথা বলেন তাদের জন্য রইল কম তেল ব্যবহার করে রান্না করার কয়ে༺কটি পদ্ধতি-
- ননস্টিকের কড়াই বা প্যানে কম তেল ব্যবহার করেই রান্না করা সম্ভব। ননস্টিকের প্যানে অল্প তেলেই ভালো রান্না হয়ে যায়। ননস্টিকের কড়াইতে অল্প তেলে ঢাকা দিয়ে রান্না করলে চটজলদি রান্নাও হয়ে যাবে।
- রান্নায় তেল ঢালার সময় চামচের ব্যবহার করুন। সোজা বোতল থেকে ঢালবেন না, বেশি পড়বেই।
- রান্নার জন্য এয়ার ফ্রায়ার ব্যবহার করুন। এই যন্ত্রের সাহায্যে একেবারে অল্প তেল ব্যবহার করে খাবার ভাজতে পারবেন। এটি খাবারের চারপাশে গরম বাতাস প্রয়োগের মাধ্যমে খাবার রান্না করে। সম্পূর্ণ তেলবর্জিত না হলেও তুলনামূলকভাবে অনেক কম হবে রান্নায় তেলের ব্যবহার ৷ এছাড়া মাঝেমধ্যে মাইক্রোওয়েভও রান্না করতে পারেন। এতেও তেল কম খরচ হবে।
- ডুবো তেলে না ভেজে চেষ্টা করুন বেক করা খাবার খেতে। নামমাত্র তেল, মশলা মাখিয়ে মাছ, মাংস বেক করে নিলেই কাজ শেষ।
- সবজি ভেজে মশলা দিয়ে কষিয়ে রান্না নয়। সব সবজি একসঙ্গে সিদ্ধ করে ফোড়ন দিতে পারেন।
- তরিতরকারি রান্নার ক্ষেত্রে আগে সব্জি সামান্য ভাপিয়ে নেয় অনেকেই ৷ এতে তেল কম লাগে ৷ বাজারে নানারকম স্টিমারও পাওয়া যায় ৷ রান্নার সাজসরঞ্জামের মধ্যে সেটাও রাখতে পারেন ৷
- অল্প তেলে পেঁয়াজ ভাজতে চাইলে, তেলের সঙ্গে ২ চামচ করে পানি দিয়ে ভাজতে থাকুন। অল্প অল্প পানির ছিটা দিয়ে পেঁয়াজ ভাজতে হবে। তবে বেশি পানি দিবেন না, এতে পেঁয়াজ সিদ্ধ হয়ে যাবে। মসলা কষাতে অল্প তেলের সঙ্গে পানি ব্যবহার করুন।