দিন দিন জিনিসের বাজার দর বেড়েই চলেছে। সবজি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসেরই দাম হাতের নাগালের বাইরে। এমন অবস্থায় জিনিস পত্রের দাম বাড়লেও বাꦐড়ে না আয়। যার ফলে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। তবে কিছু জিনিস খেয়াল করলে খরচ কিছুটা কমানো যায়। আর উর্ধ্বগতির এই বাজারে যতটুকু সম্ভব খরচ কমানোর চেষ্টা করা উচিত। তাইলে চলুন দেখে নেই, কেনাকাটা করার সময় কোন কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন-
- মাসের শুরুতে একটা পরিকল্পনা করে ফেলুন। তাতে খরচ কেমন হবে তার একটা পরিমাপ করা যাবে। আবার মাসের বাজার করতে গেলে যাওয়ার আগে ভালোভাবে দেখে পরিকল্পনা করুন ও লিস্ট করুন। লিস্ট দেখে কেনা কাটা করা উচিত। কোন কিছু দেখে ভালো লেগে গেলেই কেনা যাবে না। তাতে খরচ বেড়ে যাবে। কেনার আগে ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে সে জিনিসটা এখন আপনার কতটুকু প্রয়োজন তারপর কিনুন। এতে খরচ কিছুটা কম হবে।
- বাজার উর্ধ্বগতির হলে রান্না হতে হবে এমন সব উপকরণে যেটা সহজলভ্য। দামেও কিছুটা কম এমন জিনিসেই রান্না সারা উচিত। যেকোনও খাবারের বিকল্প ভেবে রাখুন। বিকল্প যদি তুলনামূলক সস্তা হয় তাহলে তাই নিন। মাংসের ক্ষেত্রে খেতে পারেন মুরগী। এতে শরীরে প্রোটিনের চাহিদাও পূরণ হবে।
- কোন জিনিস কেনার আগে দেখে নিন কোথাও ছাড় চলে কি না। অনেক সময় বিভিন্ন সুপারশপে দেয়। সেক্ষেত্রে ছাড় থাকলে সেখানেই যেতে পারেন। এতে কিছুটা কম খরচ হবে।
- কেনার আগে যে কোন পণ্যের দাম দেখে নিন। কারণ একই পন্যের ব্র্যান্ডভেদে দাম একেক রকমের হয়। আবার পণ্য বেশি কিনলে দাম কম হয়। তাই কেনার আগে দাম দেখে নিন। এতে নিজের বাজেট অনুযায়ী জিনিসপত্র কিনলে খরচ কিছুটা বাঁচবে।
- কেনাকাটার সময় ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পরিবর্তে নগদ টাকা ব্যবহার করুন। কারণ কার্ড ব্যবহারের ফলে ঠিক কতটা খরচ হচ্ছে, সে হিসাব রাখা মুশকিল। কারণ কার্ড ব্যবহারের ফলে অনেক সময় ট্যাক্স বাবদ খুচরা কয়েক টাকা কেট নেওয়া হয়। এ খরচগুলো এড়াতে নগদ টাকা ব্যবহার করুন কেনাকাটায়।