বিয়ে নিয়ে কত আকাঙ্ক্ষাই না থাকে। মেয়েরা বিয়ে নিয়ে স্বপ্ন বুনেন। মনের মত🅘ো জীবনসঙ্গী পেতে প্রার্থণা করেন। বিয়েতে তাকে যেন সবচেয়ে সুন্দরী দেখায় সেই আশায় কত চেষ্টাই না করেন। এমনকি এ💯কদম স্লিম ফিট হতে বিয়ের কয়েক মাস আগ থেকেই খাওয়া দাওয়া কমিয়ে দেন। করেন শরীরচর্চাও। বিয়েকে স্মরণীয় করতে কোনো কমতিই রাখেন না।
কিন্তু সেই বিয়ের কথা শুনলেই যদি নারীদের মধ্যে দুস্বপ্ন শুরু হয়! বিয়ের কথায় যদি কোনো নারী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বিয়ের যদি ত꧃াদের জন্য সুখের ও আনন্দের না হয়ে, দু:খের স্মৃতি হয়ে উঠে🧸। বিয়েই যদি নারীদের গলার কাটা হয়ে দাড়ায়!
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিয়ের রীতি বিভিন্ন রকম। দেশের অঞ্চলভেদেও বিয়ের রীতিতে ভিন্নতা রয়েছে। বিশ্বের বুকে এখনও দেশ রয়েছে যেখানে বিয়ের জন্য মেয়েদেরকে ওজন বাড়াতে হয়। যেখানে বিশ্বাস করা হয়, নারীরা যত বেশি মোটা স্বামীর 🍨মনে তাদের জায়গা তত বড় হবে।
পশ্চিম আফ🔯্রিকার মৌরিতানিয়ায় প্রচলিত রয়েছে ‘লেবলোহ প্রথার’। এই প্রথায় বিয়ের 𓆉শর্ত হলো নারীকে স্বাস্থ্যবান হতে হবে। তবেই সেই নারী সুন্দর। সেখানে বিবাহযোগ্যা নারীর সৌন্দর্যের মাপকাঠি করা হয় ওজন দিয়ে। নারীরা যত বেশি স্বাস্থ্যবান, তত বেশিই সুন্দরী। এমনকি নারীদের ওজন মাপা হয় এবং পেটের চারপাশের চর্বি রয়েছে কিনা তা দেখেই সৌন্দর্য বিচার করা হয়। ওই দেশের পুরুষরাও স্বাস্থ্যবান নারীকে বেশি পছন্দ করেন।
বিয়ের উপযোগী করে গড়ে তুলতে ওই দেশে অল্প বয়স থেকেই মেয়েদের মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়ানো হয়। তাদের বিশ্বাস, ওজন যত দ্রুত বাড়𝄹বে তত তাড়াতাড়ি ভালো স্বামী পাবে মেয়েরা। সাধারণত মৌরিতানিয়ায় বিয়ের জন্য অল্প বয়স থেকেই মেয়েদের বেশি খাওয়ানোর এই রীতির নামই হচ্ছে ‘লেবলোহ প্রথা’।
ওই দেশে ৬-৭ বছর বয়স থেকেই মেয়েদের বিয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়। পরিবারের সবাই মেয়েদের খাওয়া দাওয়ার উপর জোর দেন। মেয়েদেরকে প্রতিদিন ১৪,০০০-১৬,০০০ উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ানো হয়। ৬ বছর বয়সী একটি মেয়ের খাবার থাকে ২ কিলো মিলেট, ২ কাপ মাখন এবং ২০ লিটার উটের দুধ। এত ক্যালোরি রোজ খেতে খেতে ১৫ বছর বয়সেই তাদের শারীরিক গঠন হয় ৩০ বছরের মহিলাদের মতো। ১৮ বছর পর্যন্ত মেয়েদের ✅ওজন বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলতে থাকে।
শুধু তাই নয়, মেয়েদেরকে আরও স্বাস্থ্যবান করতে ‘ফ্যাটনিং ফার্মেও’ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। আর গ্রুমিং করা হয়। সেখানে মেয়েদের বিশ্বাস করানো হয়, ওজন বাড়ালেই তাড়াতাড়ি বিয়ে হবে এবং তারা সুখী হবে। সেখানে কোনো মেয়ের ইচ্ছা অনিচ্ছার মূল্য দেওয়া হয় না। বরং ওজন বাড়াতে বা খাবার খেতে কোন নারী আপত্তি 🎃জানালে তাকে শারীরিকভাবে অত্যাচারও করা হয়। উরুতে বেত দিয়ে মেরে কিংবা পায়ের গোড়ালিতে আঘাত করে মেয়েদের জোর করে খাওয়ানো হয়। জোর কর𓂃ে খাওয়ার এক পর্যায়ে বমিও হয়। সেই বমি করা খাবারও আবার খাওয়ানো হয় সেখানে। এই পুরো প্রক্রিয়াটাই হলো লেবলোহ প্রথা’। এই প্রথা সেই দেশে যুগ যুগ ধরেই চলে আসছে। যা এক প্রকার অত্যাচার ও কুসংস্কার বলে মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে এই প্রথায় মেয়েদেরকে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ানো স্বাস্থ্যঝু🔥ঁকি বাড়িয়ে দেয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের লেবলোহ প্রথায় মেয়েদের দিনে ১৬০০০ ক্যালরি খাওয়ানো হচ্চে। যা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিসসহ নানা রোগের কারণ হতে পারে। এতে ওই দেশের নারীরা অকাল মৃত্যুর শিকার হতᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚে পারেন।