বাসায় সা🍬রাদিন খেটে হয়ত আপনার সঙ্গী আপনার জন্য রান্না করেছে। আপনি খেতে বসেই আপনার সঙ্গীর রান্না করা খাবারকে আরেকজনের সঙ্গে তুলনা কর🍬া শুরু করে দিলেন। তাতে আপনার সঙ্গী মন খারাপ হওয়া অবধারিত। কারণ সেও আপনার জন্য কষ্ট করে রান্না করেছে। কিংবা আপনার এবং আপনার সঙ্গীর মধ্যে একটু ঝগড়া হচ্ছে। এমন সময় আপনি কোন বিষয়ে তাকে ছাড় দিয়ে কথা বলবেন না। তার ছোট ছোট ভুল গুলোকে বড় করে ধরে তার সঙ্গে ঝগড়া করেন। এমন কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো একটি সুন্দর সম্পর্ককে নষ্ট করে দিতে পারে। অনেক সময় দাম্পত্য জীবন খারাপও হয়ে যেতে পারে। এগুলো দাম্পত্য জীবনের শত্রু। এরকম আরও কিছু বিষয় আছে যেগুলোকে দাম্পত্য জীবনের শত্রু বলা হয়। যেমন-
তুলনা করা
অসুখী হওয়া খুবই সহজ। আর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, তুলনা করতে থাকা। আপনার যদি এই অভ্যাস থাকে তবে এখনই বন্ধ করুন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিয়েবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যারেজ ডটকমের সম্পর্ক–বিশেষজ্ঞরা ইতি✨মধ্যে অন্যের সঙ্গে তুলনা করাকে মানসিক নির্যাতন হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অন্যের সঙ্গে তুলনা൩ আপনার সম্পর্ককে একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতার দিকে ঠেলে দেয়। অন্যের সঙ্গে নিজের স্বামী বা স্ত্রীর তুলনা করে কখনো ‘সুস্থ প্রতিযোগিতা’ তৈরি করা যায় না, সবকিছু কেবলই বিষাক্ত হতে থাকে।
সঙ্গীকে প্রতিযোগী মনে করা
দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন বিষয়ে মতভেদ হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই কোনো বিষয় নিয়ে তর্ক হতেই পারে। এ অবস্থায় সুখী দম্পতি নিজেদের ಌঅবস্থানে অটল না থেকে কিছুটা সমঝোতার মাধ্যমে একটা সিদ্ধান্তে আসে। কিন্ত আপনাদের মত বিতর্ক যদি ঝগড়ায় রূপ নেয় এবং আপনি যদি সেই ঝগড়ায় জিততেই হবে এরকম মানসিকতা পোষণ করেন তাহলে আপনাদের জীবনে অশান্তি বিরাজ করবে। সেক্ষেত্রে আপনি-ই নাহয় ছাড় দেওয়ার মানসিকতা রাখুন। প্রতিবার ঝগড়ায় জিততে গিয়ে দাম্পত্য সম্পর্ককেই হারিয়ে ফেললেন, তা যেন না হয়। ‘ব্লেম গেম’-ই যদি খেলতে চান, তাহলে দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য আপনি এখনো তৈরি নন। কে দোষী, কার কত বড় সমস্যা, সেদিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে দুজনেই সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হোন।
সম্পর্কে তৃতীয় পক্ষের প্রভাব
দাম্পত্য সম্পর্ককে তৃতীয় পক্ষের প্রভাবমুক্ত রাখতেই হবে। দাম্পত্য সম্পর্কে তৃতীয় পক্ষকে যত গুরুত্ব দেবেন, আপনাদের ভেতরকার জটিলতা ততই ঘনীভূত হবে। আপনার সঙܫ্গী💖র নানান কারণে কিছু বিষয়ে ভুল হতেই পারে। তাই বলে তৃতীয় পক্ষকে ডেকে এনে তার কাছে বিচার দেবেন সেটা ঠিক না। এতে সম্পর্কে তীক্ততা আসে। বরং নিজেদের সমস্যায় অন্য কাউকে না ডেকে নিজেরাই সমাধান করুন। এতে সম্মান থাকবে সম্পর্কও ভালো থাকবে।
যেকোনো বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে সংকোচবোধ করেন
সঙ্গীর নানা বিষয়ে আপনার দ্বিমত থাকতে পারে। কিন্তু তাই বলে তার সঙ্গে সে বিষয়ে কথা বলবেন না তা ঠিক না। এমন অনেক ছোট ছোট বিষয় আছে, যেগুলো হয়তো একসঙ্গে বসে আলাপের মাধ্যমে সমাধান করা যেত। তবে আপনি সেগুলো নিয়ে কথা না বাড়ানোটাই সমীচীন মনে করলেন। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের নীরবতা একসময় ‘আগ্নেয়গিরি’তে রূপ নেয়। তখনেই স꧋ম্পর্কে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাই সঙ্গীর সঙ্গে যেকোনো বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে সংকোচবোধ করা ঠিক না।
গ্যাজেট
দুইজনই সারাদিন দুজনের থেকে দূরে থাকেন কাজের জন্য। আবার যখন একসঙ্গে হোন তখন মোবাইল বা ল্যাপটপ নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
আপনার ফোন যদি সঙ্গীর চেয়েও আপনার কাছে বেশি গুরুত্ব পায়, তাহলে আপনি ভুল করছেন। কারণ এভাবে সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এই ভুলকে প্রশ্রয় দিলে দূরত্ব বাড়তে বাড়তে একসময় দাম্পত্য জীবন♉ের স্বাভাবিক ছন্দটাই নষ্ট হয়ে যাবে। তাই গ্যাজেট প্রয়োজনীয় হলে তাকে সঙ্গীর চেয়ে গুরুত্ব বেশি দেওয়া যাবে না।