বছর ঘুরে আবারও এলো অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের দিন। বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষা হিসেবে সগৌরবে প্রতিষ্ঠা করার দিন। দিনটিকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশেই শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে। এদিন ছোট-বড় সবাই সাদা কালো পোশাক গায়ে জড়িয়ে হাজির হয় শহীদ মিনারের প্রভাতফেরিতে। সবার হাতে থাকে ফুল। খালি পায়ে একে একে এগিয়ে যায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। শোক জানাতে সেখানেই কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করে। এভাবেই শুরু হয় শোকের এই দিন🃏টি।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, শোকের এই দিনটির গুরুত্ব কতটুকু। বয়োজ্যেষ্ঠরাও স্মৃতির কপোটে তুলে ধরেন নিজেদের অভিজ্ঞতাকে। আপনার, আমার মতো ভবিষ্যৎ প্রজ🐽ন্মও এভাবেই উপলব্ধি করবে দিনটির গুরুত্ব। এরপরও শিশুদের সামনে ভাষা দিবসকে পরিচয় করে দেওয়া আর এর তাৎপর্যকে তুলে ধরার দায়িত্বও রয়েছে।
প্রথমেই দিনটির বিশেষত্বকে তুলে ধরুন। কেন এটি শোকের, আর কেন দಞিনটি সগৌরবে ♈বিশ্ব দরবারে স্থান পেয়েছে তার প্রকৃত ইতিহাস ছোটদের কাছে তুলে ধরুন। পাঠ্যপুস্তকে এই বিষয়ে জানানো হয়। তবে আরও বিস্তর জানতে ভাষা আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক বই পড়ে শোনান।
এই দিনটিতে ছোটদের নিয়ে শহীদ মিনারের চত্বরে হাজির হতে পারেন। হাজারো মানুষের ভিড়ে ছোটরা সেখানে যাওয়া কষ্টের হতে পারে। তাই দিনের যে সময়টাতে ভিড় কম থাকবে তখনই নিয়ে যেতে পারেন। এছাড়াও ঐতিহাসিক স্থানগুলোও ঘ🌊ুরে দেখাতে পারেন এই দিনটিতে। তবে শুধু ঘুরে বেড়ালেই হবে না। প্রতিটি স্থানের ইতিহাসকেও তুলে ধরতে হবে।
শোকের দিনটিতে সবার সঙ্গে মিল রেখে ছোটদেরও সাদা কালো রঙের পোশাক পরাতে পারেন। যেখানে মোটিফ থাকবে বাংলা🌠র বর্ণমালা, যা দেখে ছোটরাও উৎসাহিত হবে এবং মাতৃভাষা প্রতি শ🙈্রদ্ধার উপলব্ধিটা পাবে।
প্রায় সব স্কুলে ঐতিহাসিক একুশে ফেব্রুয়ারির দিনটি পালনে নানা আয়োজন থাকে। সেই আয়োজনের অংশ হতে আপনার সন্তানকে অনুপ্রাণিত করুন। ভাষার জন্য লেখা কবিতা কিংবা গানে অংশ নিলে আপনার সন্তানের দিনট♏ির প্রতি আলাদা আকর্ষণ বাড়বে।
এই মাসে অন্যতম আয়োজন একুশে বইমেলা। ছোটদের নিয়ে ঘুরে আসুন সেখানে। মেলায় ভাষা আন্দোলনসহ বাঙালির সংগ্রামী ইতিহাস নিয়ে অনেক বই পাওয়া যাবে। সেখান থেকে বেဣছে নিন ছোটদের জন্য সেরা বইগুলো।