বাঙালিরা মুরগি খেতে বেশ পছন্দ করেন। বিশেষ করে ছোটরা তো মুরগি ছাড়া ভাত খেতেই চায় না। আর ছুটির দিন কিংবা কোনো অনুষ্ঠানে, দাওয়াতের 🍰খাবার টেবিলে মুরগির পদ থাকা তো চাই। বলা যায়, মুরগির ছাড়া মেহমানদারি কল্পনাই করা যায় না। মুরগির অনেক চাহিদা এদেশে। কিন্তু মুরগিকে জাতীয় কোনো ‘উপাধি’ কিন্তু এদেশে দেওয়া হয়নি। তবে মুরগিও কোনো দেশের জাতীয় পাখি। জানেন কি, মুরগি কোন দেশের জাতীয় পাখি?
প্রতিটি দেশই নির্দিষ্ট একটি𒉰 জাতীয় পশু বা জাতীয় পাখি নির্বাচিত থাকে। ‘মুরগি’ও তেমনই একটি দেশের জাতীয় পাখি হিসেবে পরিচিত। অনেকের কাছেই এই তথ্য অজানা।
শ্রীলঙ্কার জাতীয় পাখি নাম জঙ্গল ফাউল। এটি মুরগি-র একটি প্রজাতি এবংসর্বভুক প্রাণী। আগে একে সিলন জঙ্গলফা♚উল বলা হতো। এই পাখিটি শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন জঙ্গল এলাকাতেই দেখা যায়। এই প্রজাতির পাখি বিভিন্ন ধরনের পাতা, উদ্ভিদের পদার্থ, অমেরুদণ্ডী প্রাণী যেমন স্লাগ এবং পোকামাকড় এবং মাঝে মাঝে ছোট ইঁদুর এবং ব্যাঙ খেয়ে থাকে।
জঙ্গল ফাউলকে বন মুরগীও বলা হয়। জানা যায়, এটি একটি বিরল প্রজাতীর পাখি। য𒅌ার অস্তিত্ব শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কাতেই রয়েছে। এগুলো বড় পাখি। জঙ্গল ফাউলের দৈর্ঘ্য কমবেশি ৩৫ সেন্টিমিটার। এর🥂 ওজন ৫১০-৬৪৫ গ্রাম হয়ে থাকে।
এই প্রজাতী পাখির পুরুষদের মধ্যে রঙিন প্লামেজ রয়েছে। তবে তারা যে ঘন গাছপালা বাস করে তাতে দেখা কঠিন। পুরুষ পাখি ডিম ফুটানো বা বাচ্চাদের লালন-পালনে অংশ নেয় না। বরং এই দায়িত্ব মেয়ে পাখিদের দ্বারা সঞ্চালিত হয়। এই প্রজাতির একটি বহুগামী মিলন ব্যবস্থা র💃য়েছে। যেখানে প্রতিটি মহিলা সাধারণত বেশ কয়েকটি পুরুষের সঙ্গে সঙ্গম করে। তাই এই প্রজাতিতে নারী ও পুরুষের জোড়া বন্ধন হয় না। বরং এদের উভয়ের মধ্যেই আক্রমনাত্মক সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস বিদ্যমান।