অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমে শক্তিশালী একটি ঘূর্ণিঝড়ꦇ আঘাত হেনেছে। ঝড়টি ইতিমধ্যে বাতাসের গতির রেকর্ড গড়লেও জনবহুল এলাকায় বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারেনি।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ৫ মাত্রার শক্তিশালী একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায়। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ꦡমারাত্মক ঘূর্ণিঝড় ‘ইলসা’ স্থানীয় সময় মধ্যরাতের ঠিক আগে🍌 বিশ্বের বৃহত্তম লৌহ আকরিক রপ্তানি কেন্দ্র পোর্ট হেডল্যান্ডের কাছে আঘাত হানে। আঘাত হানার সময় ঝড়টি ৫ মাত্রা নিয়ে আঘাত হানলেও পরে এটি দুর্বল হয়ে ৩ মাত্রায় নামলেও কিছু অঞ্চলে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়।
গত ১৪ বছরের মধ্যে এই অঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এটি। পোর্ট হেডল্যান্ডের মেয়র পিটার কার্টার শহরটিতে বꦦাতাসের শব্দকে ‘খুবই ভয়ংকর এবং অস্বাভাবিক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
অঞ্চলটির দমকল প্রধান পিটার সাটন বলেন, “ঝড়ে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। হেলিকপ্টারে এখানকার 🌠লোকজনকে উদ্ধারের পর রাস্তা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো দেখার জন্য উপকূল বরাবর চলে যাব।”
বেডআউট দ্বীপে ঘণ্টায় ২১৮ কি.মি বেগে বাতাস রেকর্ড হয়েছে। ঝড়টি আঘাত হানার সঙ্গে সঙ্গে প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যে বাতাসের এমন গতিবেগ রেকর্ড করা হয়। এর আগে ২০০৭ সালে এমন তাণ্ডব দেখেছে অস্ট্রেলিয়া। সেবার ঘণ্টায় ১৯৪ কিলোমিটার বাতাসের গতি ൲নিয়ে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় জর্জ।
উত্তর অস🎃্ট্রেলিয়ায় ঘূর্ণিঝড় একটি নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তবে গত ১৪ বছরের মধ্যে এই অঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এটি। ঘূর্ণিঝড় ইলসা শক্তিশালী বাতাসের সঙ্গে আঘাত হানলেও, শনিবারের মধ্যে ঝড়টি আরও দুর্বল হয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া ব্যুরো (বিওএম)।
চ্যানেল নাইনের প্রতিবেদক এজরা হল্ট শহর থেকে বি𓄧বিসিকে বলেন, “ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার আগেই পোর্ট হেডল্যান্ডের বাসিন্দারা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন।”
প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ খুব বেশি বিভ্রান্ত, অন্যরা কিছুটা স্থির। কারণ এমন শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড𓆏় 🥃খুবই বিরল।
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় আঘাত হানা সর্বশেষ ৫ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়টি ছিল লরেন্স। ২০০৯ সালে এটি আঘাত হেনেছিল। এর দুই🧸 বছর আগে ২০০৭ আরেকটি ৫ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় জর্জের🥂 তাণ্ডবে তিনজন নিহত হয়েছিল।