লোহিত সাꩵগরে আবারও হামলা চালিয়েছেন হুতি বিদ্রোহীরা। এবার গোষ্ঠীটি গালফ অব এডেন বা এডেন উপসাগরে একটি ব্রিটিশ তেল𝓡বাহী ট্যাংকারে হামলা চালানোর দাবি করেছে। এই হামলার পরপরই ব্রিটিশ ওই ট্যাংকারটিতে আগুন ধরে যায়। লোহিত সাগরের আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ জলপথটিতে এটিই হুতিদের সর্বশেষ হামলা।
যুক্তরাজ্যে☂র সামুদ্রিক বাণিজ্য পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউকেএমটিও জ🌜ানিয়েছে, শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এডেন উপসাগরের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একই লোহিত সাগরে টহলরত মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী হুতিদের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ𓃲্বংস করার পরপরই ব্রিটিশ ট্যাংকারটিতে হামলার ঘটনা ঘটল।
এর আগে, ব্রিটিশ ও মার্কিন বাহিনী যৌথভ𒁃াবে ইয়েমেনে হুতিদের অব💦স্থান লক্ষ্য করে দুই দিনে একাধিকবার হামলা চালিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের জলপথের ওপর তদারকি করা ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম অপা൲রেশন এই হামলার কথা স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, এডেন উপসাগরে একটি জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছিল এবং হামলার পর তাতে আগুন ধরে যায়। আন্তর্জাতিক জলপথের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থা রিস্ক মনিটর বলছে, ইয়েমেনি বন্দর এডেনের দক্ষিণ-পূর্বে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একটি বাণিজ্যিক জাহাজে আগুন লেগে যায়।
হুতি গোষ্ঠীর সামরি💖ক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ইয়েমেনি নৌবাহিনীর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে ব্রিটিশ তেল ট্যাংকার ‘মার্লিন লুয়ান্ডায়’ আঘাত হেনেছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি সরাসরি জাহাজটিতে🐻 আঘাত করে এবং এর ফলে সেটিতে আগুন ধরে পুড়ে যায়।
এদিকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় যখন হামলা শুরু হয় তখনই বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছিলেন, এই যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ঠিক সে লক্ষণই দেখা যাচ্ছে। গাজায় চলমান যুদ্ধের জের গড়িয়েছে লোহিত সাগরে। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ এই জলপꦅথটিতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা। সঙ্গে যোগ দিয়েছে লেবাননের রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন হি🔴জবুল্লাহও।
ইরান-সমর্থিত হুতিরা গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রত♑িবাদ ও গাজাবাসীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশে এসব হামলা চালাচ্ছে তারা। হুতিরা ইয়েমেনꦺের বেশির ভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।
লোহিত সাগর বিশ্ববাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ। তাই হুতিদের একের পর এক জাহাজে হামলা যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের উদ্বেগের বড় ꧃কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। হুতিদের বিরুদ্ধে আরোপ করা হয়েছে ইঙ্গ–মার্কিন নিষেধাজ্ঞা।