গ্রাম বাংলার খুব পরিচিত ও সহজলভ্য পাতা থানকুনি। এ✨টি একটি বহুবর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ যা, পুকুর এবং জলাভূমির পাশে পাওয়া যায়। সাধারণত গ্রামের লোকজন আমাশয় হলে এই পাতার রস বা ভর্তা খেয়ে থাকে। তবে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও এই পাতার রস খুবই উপকারী। শেকড় সহ এর পুরো অংশই খাওয়া যায়। হালকা তেতো স্বাদের এই পাতার রয়েছে আরও গুন। প্রতিদিন থানকুনির জুস বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এতে করে পাকস্থলী ও মস্তিষ্কের সুস্থতার পাশাপাশি ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ও প্রাণময়তা বৃদ্ধি পাবে ভেতর থেকে।
হজম শক্তি বাড়াতে
হ🧸জম শক্তি বাড়াতে পারে থানকুনি পাতা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, থানকুনি পাতায় উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ যাতে ঠিক মতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখে।
পেটের আলসার এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর করে
থানকুনির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যর কারণে꧒ এটি পেট এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। সেজন্য প্রথমে পরিষ্কার ও তাজা থানকুনি পাতা সেদ্ধ করুন। এরপর সেই পানি একটি গ্লাসে ছেঁকে নিন। এরপর তার সঙ্গে যোগ করুন মধু। পেটের আলসার এবং মূত্রনালীর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন সকালে এই পানীয় পান করুন।
ক্ষত নিরাময়ে
কোনও ভাবে চোট পেলে কিংবা কেটে গেলে দ্রুত রক্তপাত বন্ধ করতে থানকুনি পাতার কোনও জুড়ি নেই।এ൲র আছে অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য যার ফলে থানকুনি পাতা বেটে কাটা জায়গায় লাগালে ব্যথা কম হবে আর রক্ত 🌄পড়াও বন্ধ হয়ে যাবে।
শরীরে জ্বালাপোড়া দূর করে
থানকুনির ম্যাডেকাসসাইড ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করে। ত্🐻বকের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে ত্বককে ভেতর থেকে✃ ঠান্ডা ও প্রশান্ত করে। এতে ত্বকে সতেজভাব ফুটে ওঠে।
পেট এবং লিভার ভালো রাখে
যারা পেটের নানা সমস্যায় ভুগছেন তারা প্র😼তিদিন সকালে একটি পাকা কলার সঙ্গে কিছু থানকুনি পাতা খেতে পারেন। এমনটাই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এভাব𒅌ে নিয়মিত খেলে তা আপনার পেটের স্বাস্থ্য এবং লিভার দুটোই ভালো রাখবে।
কাশি ও ঠান্ডা
কাশি ও ঠান্ডা লাগার সমস্যা দূর করতে থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে মধু ꧟মিশিয়ে খান। নানাভাব✅ে একাধিক ক্ষতিকর টক্সিন আমাদের শরীরে ও রক্তে প্রবেশ করে। প্রতিদিন সকালে অল্প পরিমাণ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানগুলি বেরিয়ে যায়।
আর্থ্রাইটিস থেকে মুক্তি দেয়
যারা আর্থ্রাইটিস বা 🥀বাতের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী হতে পারে থানকুনি পাতা। এটি প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। বাতের চিকিৎসার অংশ হিসেবে চিকিৎসকরা নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রতিদিন অন্তত দুটি থানকুনি পাতা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে বাতের সমস্যা থ🍨েকে দূরে থাকবেন অনেকটাই।
মানসিক অবসাদ
মানসিক সমস্𒉰যায় ভুগছেন তাদের জন্য খুব ভালো থানকুনি পাতার রস। থানকুনি স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মানসিক চাপ আর অস্থিরতা দুই কমে। এর ফলে অ্যাংজাইটির আশঙ্কাও কমে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভীষণ কার্যকরী থানকুনি পাতা। যা এই মহামারির সময়ে আরও বেশি জরুরি। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে মধু মি🍰শিয়ে সেবন করুন। এটি শিশুকে খাওয়ানোও উপকা🎐রী।
ত্বকের আর্দ্রতা ও কোমলতা ধরে রাখতে
থানকুনির অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিটা ক্য༺ারোটিন, ফ্য꧙াটি অ্যাসিড এবং ফাইটোক্যামিকেল ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জুগিয়ে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে ত্বক থাকে কোমল এবং ত্বকে বয়সের ছাপ কম দৃশ্যমান হয়।
চুল পড়া কমাতে পারে
চুল পড়া নিরোধকারী পণ্যে অনেক সময় থানকুনির নির্যাস ব্যবহার করা হয়। এর অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধಞি করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।