আগে জানতে হবে আক্কেল দাঁত কী? বয়স বাড়লে মানুষের আক্কেল দাঁত গজাꩵয়। ‘আকল’ শব্দ থেকে বাংলায় আক্কেল শব্দের উৎপত্তি। এর অর্থ বুদ্ধি, বিবেচনা, কাণ্ডজ্ঞান। কিন্তু দাঁতেরও কী বুদ্ধি, বিবেচনা, কাণ্ডজ্ঞান আছে! যদি তা না হয় তাহলে কেন দাঁতের নাম আক্কেল দাঁত হলো। ওপরে-নিচের মাড়ির একদম শেষ প্রান্তের মোট ৪টি দাঁতকে আক্কেল দাঁত বলা হয়।
সাধার🦋ণত ১৭-২৫ বছর বয়সের মাঝ🐎ে আক্কেল দাঁত গজায়। কারও কারও ক্ষেত্রে ৪০-৫০ বছরেও গজানোর দৃষ্টান্ত আছে।
মানুষের সবশেষে গজানো এই দাঁতের নাম কবে বা কারা আক্কেল দাঁত রাখেন, তা জানা যায় নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ম♐ানুষের 🦩জ্ঞান-বুদ্ধি হওয়ার পরে এই দাঁত গজায় বলে এই নামকরণ। যদিও বয়সের কারণ ছাড়া এ দাঁতের সঙ্গে আক্কেল বা জ্ঞান হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
আদিম যুগে পূর্ণ বয়ষ্ক মানুষের খাদ্য তালিকায় শক্ত এবং আঁশযুক্ত খাবারের পরিমাণ বেশি ছিলো। এসব খাবার পেষণে সাহায্যের জন্যই আক্কেল দাঁতের আবির্ভাব হয়েছিলো বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। খাবার চিবানো ও পেষণে আক্কেল দাঁꦿত কার্যকারি🐓তা অতুলনীয়।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের খাদ্যাভ্যাস এখন পরিবর্তন হয়েছে। খাদ্যতালিকা থেকে বাদ পড়েছে কাঁচা মাংসের মতো অতিরিক্ত শ🅰ক্ত ও আঁশযুক্ত খাবার। ফলে আক্কেল দাঁতের প্রয়োজনীয়তা কমে এসেছে। দাঁত গজানোর পেছনে দায়ী হরমোনেও এসেছে পরিবর্তন। তাই অনেকেরই এখন সঠিক সময়ে বা সঠিকভাবে আক্কেল দাঁত গজায় না।
গজালেও নানা অস𝔉ুবিধায় ভোগেন অনেকে। বাঁকা হয়ে গজানো। পাশের মাড়ির দাঁতের সঙ্গে সংঘর্ষ এসব নানা কারণে আক্কেল দাঁতে ব্যথা হতে পারে।
মাড়ি শক্ত হয়ে যাওয়ার পর আক্কেল দাঁত গজায়। তাই আক্কেল দাঁত ওঠার আগে মাড়িতে বেশ ব্যথা হয় কিছুদিন। ব্যথা অনেক তীব্র হলে দেরি না করে দন্ত 🐻চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।